এক প্রেস বিবৃতিতে জামায়াতে ইসলামী হিন্দ পশ্চিমবঙ্গ শাখা জানিয়েছে,
গত শনিবার আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের নিউ টাউন ক্যাম্পাসে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের নামে অপসংস্কৃতির উৎসবের আয়োজন করা হল। আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে যে ঐতিহাসিক অতীত ঐতিহ্যের পরম্পরা আছে, এই অনুষ্ঠান তার সঙ্গে পুরোপুরি সংঘর্ষিক ও দ্বন্দ্বমূলক। কলকাতা আলিয়া মাদ্রাসা এই উপমহাদেশের একটি স্বনামধন্য ও ঐতিহ্যময় মাদ্রাসা। এই আলিয়া মাদ্রাসা আজ আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় নামে উপনীত হয়েছে। উপনিবেশবাদী পাশ্চাত্য সংস্কৃতির ধারক-বাহক ব্রিটিশ সরকার আলিয়ার উপর ইসলামী মূল্যবোধ বিরোধী এমন কাজ অন্তত তারা করে নি।
বিশ্ববিদ্যালয় অঙ্গনে গভীর রাত পর্যন্ত চলেছে উদ্দাম নৃত্য। তার সঙ্গে চটুল গান। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এই ধরণের অশালীন অনুষ্ঠান বন্ধে কোন পদক্ষেপ নেন নি। বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও পড়ুয়াদের বড় অংশ এই ধরণের অপসংস্কৃতিমূলক অনুষ্ঠানের বিরোধী। তথাপি এমন আপত্তিকর ও কুরুচিসম্পন্ন অনুষ্ঠান হতে পারলো। মুসলিম সমাজ ও বাংলার সংস্কৃতিবান জনতা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে এর জবাব চাইছে।
জামাআতে ইসলামী হিন্দের রাজ্য সভাপতি ডাঃ মসিহুর রহমান আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে যে অশালীন ও কুরুচিকর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হল তার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছে।
আলিয়ায় ইসলামী ঐতিহ্য ও মূল্যবোধের পরিপন্থী এ ধরণের অনুষ্ঠানের অনুমতি বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষ যেন আগামীতে না দেন তার দাবি জানাচ্ছে জামাআতের রাজ্য সভাপতি।
বহিরাগত ছাত্রাদের আলিয়ার শিক্ষাঙ্গণে প্রবেশের উপর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনতে হবে। উল্লেখ্য, বহিরাগত এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের স্বল্পসংখ্যক অংশের অবিবেচক তৎপরতায় সুষ্ঠু অ্যাকাডেমিক পরিবেশ বিনষ্ট হবার যে সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে তার উপর কড়া নজরদারি কর্তৃপক্ষকে নিতে হবে।
বাংলার সুস্থ সাংস্কৃতিক চেতনার পরিপন্থী, সংখ্যালঘুদের ধর্মীয় ভাবানুভূতিকে আঘাত করবে এমন কোন অনুষ্ঠানের অনুমতি দেওয়া যাবে না– এই দাবী জানাচ্ছে জামাআতের রাজ্য সভাপতি। বিশ্ববিদ্যালয়ের আচর্যের কাছে দাবি হল, এই স্পর্শকাতর বিষয়টিকে তিনি তার মহানুভব দৃষ্টি দিয়ে যেন দেখেন।
