মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গঙ্গাসাগর মেলার প্রস্তুতি নিয়ে একটি বৈঠক করেছেন। এই সময় তিনি বেশ কিছু ঘোষণা দিয়েছেন এবং নিরাপত্তা প্রস্তুতির খবরও নিয়েছেন।মেলায় কড়া পুলিশি নজরদারি থাকবে। ভিড় নিয়ন্ত্রণে ২০০ কিলোমিটার দীর্ঘ ব্যারিকেডিং থাকবে। এছাড়াও ১১৫০টি সিসিটিভি ক্যামেরা, ২০টি ড্রোন এবং ৫০টি ফায়ার ইঞ্জিন মোতায়েন করা হবে। শুধু তাই নয়, জনপ্রতি ৫ লক্ষ টাকার দুর্ঘটনা বিমাও ঘোষণা করা হয়েছে। এই সময় নিরাপত্তা ব্যবস্থার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, তাঁর সরকার ‘গঙ্গা সাগর মেলা’ চলাকালীন ভক্তরা যাতে কোনও অসুবিধার সম্মুখীন না হয় তা নিশ্চিত করার জন্য সমস্ত সম্ভাব্য পদক্ষেপ নিচ্ছে। এই বার্ষিক মেলার প্রস্তুতির খবর নেন মমতা। এই মেলার জন্য দেশ-বিদেশের প্রতিটি কোণ থেকে হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা এখানে আসেন। ‘মকর সংক্রান্তি’ উপলক্ষে গঙ্গা ও বঙ্গোপসাগরের স্নান করেন। এই বছর গঙ্গাসাগর মেলার আয়োজন করা হবে দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলায় ৮ জানুয়ারি থেকে ১৭ জানুয়ারি পর্যন্ত। এদিন পর্যালোচনা বৈঠক শেষে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘গঙ্গাসাগর ভারতের সবচেয়ে বড় মেলা। এ বছর অন্তত ৪০ লাখ মানুষ মেলায় আসবেন। ভক্তদের যাতে কোনো ধরনের সমস্যা না হয় সেজন্য সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। প্রায় ১০ হাজার পুলিশ মোতায়েন করা হবে বলে জানান তিনি। ট্রাফিক নিয়মের বিষয়ে একটি পরিকল্পনা করা হয়েছে এবং জল এলাকায় টহলও করা হবে। কোনো মূল্যে আইনশৃঙ্খলার সঙ্গে কোনো আপস করা হবে না। মেডিকেল ইউনিট প্রস্তুত রাখা হবে। তিনি আরও বলেছেন, ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থার (ইসরো) সহায়তায় জিপিএস এবং স্যাটেলাইট পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে যানবাহনের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করা হবে। মেলাকে পরিবেশবান্ধব করার চেষ্টা চলছে। তিনি বলেন, ইতিমধ্যে সাগর দ্বীপের চারপাশে প্রয়োজনীয় খনন কাজ শেষ হয়েছে। শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়, ফিরহাদ হাকিম এবং অরূপ বিশ্বাস সহ সিনিয়র মন্ত্রীদের গঙ্গাসাগর মেলা চলাকালীন কার্যকলাপগুলি ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ করতে গুরুত্বপূর্ণ স্থানে উপস্থিত থাকতে বলেছেন