এবার ইডির চার্জশিটে প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর নাম!

আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের আগে অস্বস্তি বাড়ল কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর। হরিয়ানার ফরিদাবাদে জমি কেনা সংক্রান্ত মামলায় চার্জশিটে প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর নাম অন্তর্ভুক্ত করেছে ইডি। তার স্বামী রবার্ট ভাদ্রার নামও চার্জশিটে রয়েছে। যদিও চার্জশিটে অভিযুক্ত হিসেবে প্রিয়াঙ্কা ও রবার্ট ভাদ্রার নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। ‘প্রিভেনশন অফ মানি লন্ডারিং অ্যাক্ট’ সংক্রান্ত একটি মামলার চার্জশিটে কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) জানিয়েছে যে রবার্ট ভাদ্রা এবং প্রিয়াঙ্কা গান্ধী ভাদ্রা দিল্লি ভিত্তিক রিয়েল এস্টেট এজেন্টের মাধ্যমে হরিয়ানায় জমি কিনেছিলেন। এই এজেন্ট এনআরআই ব্যবসায়ী সিসি থামপির কাছে জমিও বিক্রি করেছেন। সিসি থামপি এবং সুমিত চাড্ডার বিরুদ্ধে দায়ের করা চার্জশিটে প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর নাম উল্লেখ করা হয়েছে। তদন্তে জানা গেছে রবার্ট ভাদ্রা এবং থামপি ছাড়াও প্রিয়াঙ্কা গান্ধীও ফরিদাবাদে জমি কিনেছিলেন। সঞ্জয় ভান্ডারির ​​ঘনিষ্ঠ থাম্পি এবং ভাদ্রার মধ্যে আর্থিক সংযোগের তদন্তের সময় এটি প্রকাশিত হয়েছে। জানা গিয়েছে ২০০৫-২০০৬ সালের মধ্যে রবার্ট ভাদ্রা ফরিদাবাদের আমিপুর গ্রামে এইচএল পাহওয়া সম্পত্তি ব্যবসায়ীর মাধ্যমে প্রায় ৪০.৮ একর জমি কিনেছিলেন। সেই জমি আবার ২০১০ সালে পাহওয়াকে বিক্রি করেছিলেন। একইভাবে, প্রিয়াঙ্কা গান্ধী ভাদ্রার নামে একটি বাড়িও একই অমিপুর গ্রামে ২০০৬ সালের এপ্রিলে কেনা হয়েছিল, যা ফেব্রুয়ারী ২০১০ সালে পাহওয়ার কাছে বিক্রি করা হয়েছিল। ইডি বলছে, রবার্ট ভাদ্রা এবং থামপির মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। ব্যবসা করার পাশাপাশি দুজনে একসঙ্গে অনেক কাজও করেন। এই মামলাটি পলাতক ব্যবসায়ী সঞ্জয় ভান্ডারির ​​সাথে সম্পর্কিত। ইডি সূত্রে খবর, ব্ল্যাক মানি অ্যান্ড ইম্পোজিশন অফ ট্যাক্স আইন ২০১৫-এর অধীনে সঞ্জয়ের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে আয়কর দফতর।

এদিকে চার্জশিটে প্রিয়াঙ্কা গান্ধী ভাদ্রার নাম আসার পর কেন্দ্রীয় সরকারকে নিশানা করেছেন কংগ্রেস নেতা পবন খেরা। আজ নাগপুরে পবন খেরা বলেছেন, “এটি প্রথমবার ঘটছে না। নির্বাচন এলেই তারা ষড়যন্ত্র করে। এই তো শুরু, দেখুন নির্বাচনের আগে তারা আর কি করে। ওরা ষড়যন্ত্র করুক। “

সর্বশেষ সংবাদ

জনপ্রিয় গল্প

সর্বশেষ ভিডিও