নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (সিএএ) বাস্তবায়নের গুঞ্জন দেশে তীব্র হয়েছে। চলতি বছরের যেকোনো সময় এ আইন কার্যকর হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও বাংলার মাটি থেকে এই আইন কার্যকর করার কথা বলেছেন। এদিকে সিএএ নিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন এআইএমআইএম প্রধান আসাদউদ্দিন ওয়াইসি। হায়দরাবাদের সাংসদ বলেছেন, সিএএ সংবিধান বিরোধী। এই আইন যা ধর্মের ভিত্তিতে তৈরি করা হয়েছে। ওয়াইসি বলেছেন, এনপিআর-এনআরসি সহ সিএএ পড়া এবং বোঝা উচিত যা এই দেশে আপনার নাগরিকত্ব প্রমাণের শর্ত নির্ধারণ করবে। ওয়াইসির অভিযোগ, এই আইন কার্যকর হওয়ার পর এমন শর্ত আরোপ করা হবে যাতে লোকেদের দেশের নাগরিকত্ব প্রমাণ করতে হবে। তাঁর মতে, এটা হলে তা হবে দেশের দরিদ্র জনগণের পাশাপাশি মুসলিম ও দলিত জনগোষ্ঠীর প্রতি চরম অবিচার,জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে মানুষকে তাদের নাগরিকত্ব প্রমাণ করতে বলা হবে, যা একটি বিশাল অন্যায় হবে বলে জানান তিনি।
বাম দলের নেতা সীতারাম ইয়েচুরিও নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের বিধি তৈরির বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে ইয়েচুরি এক প্রশ্নের জবাবে বলেছেন, এখন এটি খুব স্পষ্ট হয়ে গেছে যে এই আইনটি কার্যকর করার উদ্দেশ্য সম্পূর্ণ রাজনৈতিক। তিনি বলেছেন, বিলগুলি ২০১৯ সালে সংসদে পাস হয়েছিল। রাষ্ট্রপতির অনুমোদন পাওয়া বেশ কিছু বছর পার হলেও এর বিধিমালা জারি হয়নি। এখন বলা হচ্ছে যে লোকসভা নির্বাচনের ঠিক আগে সিএএ নিয়ম জারি করা হবে। সরকার নিয়ম জারি করতে চায় যাতে সাম্প্রদায়িক মেরুকরণ করা যায়। বাম নেতা বলেছেন, সরকার সিএএকে রাজনৈতিক অস্ত্র হিসাবে ব্যবহার করতে চায়। নির্বাচনের আগে সিএএ নিয়ম জারি করার একটাই উদ্দেশ্য। সরকার এই আইনের নিয়মকানুন ও আইনে প্রণীত ঘোষণাকে কাজে লাগিয়ে নির্বাচনে সুবিধা আদায় করতে চায়।