বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটলো ইরানেও। ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন জানিয়েছে, ইরানের প্রয়াত শীর্ষ কমান্ডার কাসেম সোলাইমানি মৃত্যুবার্ষিকীতে তার কবরের কাছে বিস্ফোরণে শতাধিক মানুষ নিহত হয়েছে। ২০২০ সালে ইরাকে মার্কিন ড্রোন হামলায় কাসেম সোলাইমানি নিহত হন।
ইরানের জেনারেল সোলেইমানি হত্যার বার্ষিকী উপলক্ষে বুধবার তার কবরের কাছে বিস্ফোরণের শব্দ শুনে অন্তত ১০৩ জন নিহত বলে জানিয়েছে ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন।
গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে বলা হয়েছে, এই ঘটনার পর থেকে সরকারিভাবে মৃতের সংখ্যা ক্রমাগত বাড়ছে। আহত অন্তত আরও ১৮০ জন।
১৯৭৯ সালের ইসলামী বিপ্লবের পর ইরানের মাটিতে এটাই বড় প্রাণঘাতী উগ্রবাদী হামলা বলে মনে করা হচ্ছে। তবে এই বিস্ফোরণের দায় এখনো কোনো গোষ্ঠী স্বীকার করেনি। বিস্ফোরণের পর ৪ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার সারাদেশে শোক দিবস ঘোষণা করা হয়েছে।
বুধবার রাতে আমেরিকার বিদেশ দফতরের মুখপাত্র ম্যাথু মিলার অভিযোগ খারিজ করে বলেন, ‘‘আমেরিকা কোনও ভাবেই জড়িত নয়। ওই বিস্ফোরণের নেপথ্যে ইজ়রায়েলের হাত রয়েছে, এটাও বিশ্বাস করার কোনও কারণ নেই।’’
এর পরেই ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রইসির রাজনৈতিক পরামর্শদাতা মহম্মদ জামশিদি এক্স হ্যান্ডলে লেখেন, ‘‘ওয়াশিংটন বলেছে, ইরানের কেরমানে সন্ত্রাসবাদী হামলার ঘটনায় আমেরিকা এবং ইজ়রায়েলের ভূমিকা নেই। সত্যিই তা-ই? যে অপকর্মের জন্য তুমি অন্যকে দোষারোপ করো, সেটা তোমার মাথায় আগে ঘুরপাক খায়।’’ প্রসঙ্গত, সাম্প্রতিক যুদ্ধে গাজ়ার হামাস, লেবাননের হিজবুল্লা এবং ইয়েমেনের হুথি বাহিনীকে ইজ়রায়েলের বিরুদ্ধে ইরান মদত দিচ্ছে। তা নিয়ে একাধিক বার তেহরানকে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু।