‘ইন্ডিয়া’ জোটের অংশীদারদের চাপ বাড়ছে কংগ্রেসের উপর। অবশেষে দলটি আসন ভাগাভাগি নিয়ে সমস্যা সমাধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সূত্রের খবর, সারা দেশে আসন বণ্টনের জন্য জোটের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন কংগ্রেস নেতারা। দলের সিনিয়র নেতা মুকুল ওয়াসনিক অনেক বিরোধী দলের প্রধানদের সঙ্গে কথা বলেছেন। প্রয়োজনে কংগ্রেস নেতারাও রাজ্যে গিয়ে বিরোধী নেতাদের সঙ্গে দেখা করবেন। দলটি রাহুল গান্ধীর ভারত জোড়া ন্যায় যাত্রার আগে আসন ভাগাভাগি চূড়ান্ত করার আশা করছে। রাহুল গান্ধীর এই যাত্রা শুরু হবে ১৪ জানুয়ারি থেকে। রাহুল গান্ধীর এই পদযাত্রার মধ্য দিয়েই নির্বাচনী প্রচার চালানো হবে বলেও জানানো হচ্ছে। এ বিষয়টি মাথায় রেখে শিগগিরই প্রার্থী তালিকাও চূড়ান্ত করা হবে বলে জানা গেছে। পার্টি প্রধান মল্লিকার্জুন খার্গের বাসভবনে কংগ্রেসের একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছিল, যেখানে রাহুল গান্ধী ছাড়াও আসন ভাগাভাগির বিষয়ে মুকুল ওয়াসনিকের নেতৃত্বাধীন কমিটিও উপস্থিত ছিল। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট এবং ভূপেশ বাঘেল আসন ভাগাভাগি কমিটির সদস্য। তবে আসন ভাগাভাগির পথ সহজ হবে বলে আশা করা যাচ্ছে না, কারণ অনেক বিরোধী দলের নেতারা এ বিষয়ে তাদের অনীহার ইঙ্গিত দিচ্ছেন। মিডিয়াতে এমন খবরের পরে কংগ্রেস দল সক্রিয় হয়ে উঠেছে যেখানে দাবি করা হয়েছিল যে আঞ্চলিক দলগুলি কংগ্রেসের উপর ক্ষুব্ধ। এমনকি এই দলগুলি কংগ্রেসকে আলাদা করে একটি সভা করার প্রস্তুতি নিচ্ছে। সংবাদে দাবি করা হয়, আগামী দুই দিনের মধ্যে অনলাইন বৈঠক করে বড় সিদ্ধান্ত নিতে পারে দলগুলো। জেডিইউ-এর নীতিশ কুমার, শিবসেনার উদ্ধব ঠাকরে, আপের অরবিন্দ কেজরিওয়াল, টিএমসির মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং এনসিপির শরদ পাওয়ার ছাড়াও অন্যান্য আঞ্চলিক দলের নেতারাও একে অপরের সঙ্গে কথা বলেছেন। উল্লেখ্য, দিল্লিতে অনুষ্ঠিত ইন্ডিয়া অ্যালায়েন্সের বৈঠকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হলেও কংগ্রেস পার্টি কমিটির রিপোর্ট এখনও আসেনি। বলা হচ্ছে, জোটের সমন্বয়ক পদ নিয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। এ নিয়ে আঞ্চলিক দলগুলোর মধ্যেও ক্ষোভ রয়েছে।