সন্দেশখালির ঘটনা ও সাংবাদিকদের উপর হামলার প্রতিবাদে সিপিআইএমএল লিবারেশনের বিবৃতি

 

“গত ৫ জানুয়ারী সন্দেশখালির ঘটনা ও সাংবাদিকদের উপর হামলার তীব্র প্রতিবাদ ও দোষীদের শাস্তি দাবি করছে সিপিআই-এম‌এল লিবারেশন।

আজ দুর্নীতি সারা দেশের রন্ধ্রে রন্ধ্রে ছড়িয়ে পড়েছে। আমাদের রাজ্য‌ও তার ব্যতিক্রম নয়। যার ফলে সবচেয়ে বেশী ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। আমাদের রাজ্যে নানা ধরণের দুর্নীতির সঙ্গে যেসব রাজনৈতিক নেতা ও প্রশাসনিক কর্তাব্যক্তিরা জড়িয়ে পড়েছে তাদের চিহ্নিত করা ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি আমরা জানাচ্ছি। দুর্নীতি রোধে কেন্দ্র ও রাজ্যের সংশ্লিষ্ট এজেন্সিগুলির ভূমিকা প্রশ্নের ঊর্দ্ধে নয়। আমরা দাবি জানাচ্ছি দুর্নীতি রোধে প্রশাসনিক ব্যবস্থাপনায় স্বচ্ছতা ও সংস্কারের এবং দুর্নীতি দমনের এজেন্সিগুলিকে রাজনৈতিক নিয়ন্ত্রণ থেকে মুক্ত করার।

কেন্দ্রের এজেন্সিগুলো দুর্নীতি দমনের নামে সারা দেশে বিরোধী দলগুলোর উপর সরাসরি বিজেপির রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসাবে যে একপেশে ভূমিকা পালন করছে আমরা তার‌ও তীব্র নিন্দা করছি। আমরা মনে করি এই ধরনের অভিযান দুর্নীতি নিরোধে কোনো সদর্থক ভূমিকা নিচ্ছে না। তার‌ই ফলস্বরূপ বিজেপির দুর্নীতিগ্রস্ত নেতারা সিবিআই-ইডির শুধু আওতার বাইরে থাকেনা, তারা প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর প্রিয়পাত্র হয়ে ওঠে। আমরা কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলোর এই অপব্যবহারের বিরুদ্ধে এবং দুর্নীতিগ্রস্তদের যথাযথ শাস্তির দাবিতে জনগণের নজরদারি ও প্রতিবাদের প্রতি আস্থা রাখি।

সন্দেশখালি ঘটনায় বিচারপতি অভিজিৎ গাঙ্গুলীর বিভিন্ন মন্তব্য গণতন্ত্রের পক্ষে যথেষ্ট উদ্বেগজনক। আধা সামরিক বাহিনীকে সাধারণ গ্রামবাসীর উপর গুলি চালানোর উস্কানি দেওয়া ও গ্রামবাসীদের এক বিশেষ জনগোষ্ঠীর নামে ছাপ মেরে সাম্প্রদায়িক ঘৃণার রাজনীতি ছড়ানোর মতো অনেক মণিমুক্তা তার মুখ থেকে অনর্গল ঝরে পড়ছে। বিচারপতির গলায় আমরা এ কোন কন্ঠস্বর শুনতে পাচ্ছি? এ তো এনকাউন্টার হত্যার ওকালতি। কেন্দ্র ও রাজ্যের শাসক দল নিরপেক্ষ ভাবে দুর্নীতিগ্রস্তদের শাস্তির দাবিতে রাজ্যবাসীকে সোচ্চার হতে হবে। পাশাপাশি আমরা রাজনীতির অপরাধীকরণের বিরুদ্ধে জনগণকে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।”

সর্বশেষ সংবাদ

জনপ্রিয় গল্প

সর্বশেষ ভিডিও