ইয়েমেনে আগ্রাসন চালানোর জন্য যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটেনের তীব্র সমালোচনা করে তুর্কি প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়েব এরদোগান বলেছেন, ওই দুই দেশ লোহিত সাগরকে ‘রক্তের সাগরে’ পরিণত করতে চায়।
এরদোগান শুক্রবার ইস্তাম্বুলে সাংবাদিকদের বলেন, ইঙ্গো-মার্কিন বাহিনী ইয়েমেনে ‘অসামঞ্জস্যপূর্ণ’ শক্তি প্রয়োগ করেছে। তিনি গাজা উপত্যকায় একই ধরনের শক্তি প্রয়োগের জন্য ইসরাইলকে অভিযুক্ত করেন।
তুর্কি প্রেসিডেন্ট আরো বলেন, শুক্রবার ভোররাতে যে হামলা হয়েছে তার বেশিরভাগ ক্ষেপণাস্ত্র ইয়েমেনের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা আকাশেই ধ্বংস করে দিয়েছে।
এরদোগান বলেন, ‘আমরা বিভিন্ন সূত্র থেকে খবর পেয়েছি যে- হাউসিরা আত্মরক্ষা করার জন্য অত্যন্ত সফল আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তুলেছে। তারা যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটেন উভয়ের হামলা সাফল্যের সাথে প্রতিহত করেছে।’
এর আগে শুক্রবার ভোররাতে যুদ্ধবিমান, রণতরী ও সাবমেরিন থেকে ইয়েমেনের বিভিন্ন স্থানে একযোগে হামলা চালায় মার্কিন ও ব্রিটিশ বাহিনী। আজ ভোরেও তারা হামলা চালিয়েছে। তবে আজকের হামলা থেকে ব্রিটেন বিরত ছিল।
গাজা উপত্যকায় ইসরাইলের পাশবিক গণহত্যার জবাবে ইয়েমেনের সেনাবাহিনী ইসরাইলের সাথে সংশ্লিষ্ট জাহাজগুলোতে যে হামলা চালিয়ে আসছিল তার জবাব দিতে যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটেন এ হামলা চালিয়েছে।
হাউসি কর্মকর্তা আব্দুল কাদের আল-মোর্তজা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এর এক পোস্টে জানিয়েছেন, ‘ইঙ্গো-মার্কিন চক্র ইয়েমেনের রাজধানী সানা, হুদায়দা, সা’দা ও ধামার শহরে হামলা চালিয়েছে।’
হাউসি নেতারা বলেছেন, গাজায় ইসরাইলি আগ্রাসন বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত ইসরাইলগামী ও ইসরাইলি মালিকানাধীন বাণিজ্যিক জাহাজগুলো হামলা চলতে থাকবে। এসব নেতা তাদের বিরুদ্ধে আমেরিকার নেতৃত্বে গঠিত টাস্কফোর্স প্রত্যাখ্যান করে বলেছিলেন, আমেরিকার সম্ভাব্য যেকোনো হামলার জবাব দেয়া হবে।
সূত্র : রয়টার্স ও আল-জাজিরা