পশ্চিমবঙ্গে কংগ্রেস এবং তৃণমূলের মধ্যে জোট না হওয়ার জন্য দায়ী প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী। এমনই মন্তব্য তৃণমূল কংগ্রেস নেতা ও রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েনের। এর আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেছেন তাঁর দল রাজ্যে লোকসভা নির্বাচনে এককভাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে। এদিন ও’ব্রায়েন সাংবাদিকদের বলেন,’বাংলায় জোটের কাজ না হওয়ার পেছনে তিনটি কারণ রয়েছে। অধীর রঞ্জন চৌধুরী, অধীর রঞ্জন চৌধুরী এবং অধীর রঞ্জন চৌধুরী।’ তিনি বলেছেন ‘ইন্ডিয়া জোটের অনেক সমালোচক ছিলেন কিন্তু মাত্র দুজন -বিজেপি এবং অধীর বারবার জোটের বিরুদ্ধে বিবৃতি দিয়েছেন।’
তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ অভিযোগ করেছেন, অধীর বিজেপির নির্দেশে কাজ করছেন। তিনি বলেন, কণ্ঠটা তার, কিন্তু কথাগুলো দিল্লিতে বসে তাকে দিচ্ছেন দুজন। গত দুই বছরে অধীর রঞ্জন চৌধুরী বিজেপির ভাষায় কথা বলছেন। বাংলাকে কেন্দ্রীয় তহবিল থেকে বঞ্চিত করার বিষয়টি তিনি একবারও তোলেননি। ও’ব্রায়েন বলেন, “ইডি যখন বাংলায় তৃণমূলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়, তখন তিনিও তাদের সমর্থন করেছিলেন। তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে অপমান করার জন্য একটি বিশেষ সংবাদ সম্মেলন ডেকেছেন কিন্তু বিজেপি নেতাদের বিরুদ্ধে খুব কমই কথা বলছেন। এক প্রশ্নের জবাবে ও’ব্রায়েন বলেছেন, “লোকসভা নির্বাচনের পরে, যদি কংগ্রেস তার কাজ করে এবং বিজেপিকে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক আসনে পরাজিত করে, তবে তৃণমূল কংগ্রেস সম্পূর্ণরূপে সংবিধানে বিশ্বাসী ফ্রন্টে যুক্ত হবে”।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বুধবার হঠাৎ করেই ঘোষণা করলেন যে তাঁর দল পশ্চিমবঙ্গে লোকসভা নির্বাচনে এককভাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে। এতে হতবাক বিরোধী জোট। এর পরে কংগ্রেসের প্রতিক্রিয়া আসে এবং দলের সাধারণ সম্পাদক জয়রাম রমেশ বলেছিলেন যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ছাড়া ‘ইন্ডিয়া’ জোট কল্পনা করা যায় না। মমতার বিরুদ্ধে অধীর চৌধুরীর বারবার আক্রমণে ক্ষুব্ধ তৃণমূল কংগ্রেস।