২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন অন্তর্বর্তী বাজেট পেশ করেছেন। তিনি চব্বিশের বাজেটকে ভারতের ভবিষ্যতের বাজেট হিসেবে বর্ণনা করেছেন। সীতারামন দাবি করেছেন, ভারত ২০৪৭ সালের মধ্যে একটি উন্নত দেশে পরিণত হবে। নির্মলা সীতারমন বলেন, “দেশের মানুষ ভবিষ্যতের দিকে তাকিয়ে আছে। তারা আশাবাদী। প্রধানমন্ত্রী মোদীর নেতৃত্বে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। ২০১৪ সালে যখন পিএম মোদি কাজ শুরু করেছিলেন, তখন অনেক চ্যালেঞ্জ ছিল। জনস্বার্থে কাজ শুরু হয়েছে। জনসাধারণকে সর্বোচ্চ কর্মসংস্থানের সুযোগ দেওয়া হয়েছে। দেশে নতুন উদ্দেশ্য ও আশার সঞ্চার হয়েছে। জনগণ আমাদের দ্বিতীয়বারের মতো সরকারে নির্বাচিত করেছে। আমরা ব্যাপক উন্নয়নের কথা বলেছি। সকলের সমর্থন, সকলের আস্থা ও সকলের প্রচেষ্টার মন্ত্র নিয়ে এগিয়ে চলেছি।”
বাজেটের ১০টি বড় ঘোষণা:
১. আশা-অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীরা আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পের আওতায় আসবেন।
২. মধ্যবিত্ত পরিবারের জন্য একটি নতুন আবাসন প্রকল্প শুরু করবে সরকার।
৩. প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা-গ্রামীণ-এর অধীনে আগামী ৫ বছরে আরও দুই কোটি বাড়ি তৈরি করা হবে।
৪. ৪০,০০০ সাধারণ রেল কোচকে বন্দে ভারত-এর স্তরে আনা হবে।
৫. ৩টি বড় অর্থনৈতিক রেল করিডর নির্মাণ করা হবে। এগুলো হবে শক্তি, খনিজ ও সিমেন্ট করিডোর; বন্দর সংযোগ করিডোর এবং উচ্চ ট্রাফিক ঘনত্ব করিডোর রয়েছে। মাল্টি-মডাল সংযোগ সক্ষম করার জন্য পিএম গতি শক্তির অধীনে প্রকল্পগুলি চিহ্নিত করা হয়েছে।
৬. প্রায় ১ কোটি নারী হয়েছেন লখপতি দিদি, এখন টার্গেট ৩ কোটি লখপতি দিদি।
৭. বাড়ির ছাদে সোলারাইজেশন ও বিনামূল্যে বিদ্যুৎ। ছাদে সোলারাইজেশনের মাধ্যমে ১ কোটি পরিবার প্রতি মাসে ৩০০ ইউনিট পর্যন্ত বিনামূল্যে বিদ্যুৎ পেতে সক্ষম হবে। প্রত্যাশিত সুবিধা: বিনামূল্যে সৌরশক্তি থেকে ১৫,০০০ – ১৮,০০০ টাকা পর্যন্ত সঞ্চয়।
৮. প্রত্যক্ষ করের হারে কোনো পরিবর্তন নেই। আয়কর স্ল্যাবে কোন পরিবর্তন নেই।
৯. মহাত্মা গান্ধী জাতীয় গ্রামীণ কর্মসংস্থান গ্যারান্টি স্কিমের আনুমানিক বাজেট ছিল ২০২৩-২৪ সালে ৬০,০০০ কোটি টাকা, যা ২০২৪-২৫ সালে ৮৬,০০০ কোটি টাকায় উন্নীত হয়েছে।
১০. পরিকাঠামো খাতে আরও ১১ শতাংশ ব্যয় করা হবে।