পেটিএম পেমেন্টস ব্যাঙ্ক লিমিটেডের (পিপিবিএল) গ্রাহক এবং সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীদের ১৫ মার্চের মধ্যে তাদের অ্যাকাউন্টগুলি অন্য ব্যাঙ্কে স্থানান্তর করুন। শুক্রবার এমনই পরামর্শ দিয়েছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া। এইভাবে পেটিএম পেমেন্টস ব্যাঙ্ক আমানত এবং উত্তোলন সম্পর্কিত লেনদেন সহ তার বেশিরভাগ কার্যক্রম বন্ধ করার জন্য ১৫ দিনের অতিরিক্ত সময় পেয়েছে। এর আগে, আরবিআই ২৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪-এর পরে কোনও গ্রাহক অ্যাকাউন্ট, প্রিপেইড পণ্য, ওয়ালেট এবং ফাস্ট্যাগে আমানত বা ‘টপ-আপ’ অর্থাৎ ‘রিচার্জ’ গ্রহণ না করার নির্দেশ দিয়েছিল। বারবার নিয়ন্ত্রক বিধান লঙ্ঘনের দায়ে গত ৩১ জানুয়ারি পিপিবিএলের বিরুদ্ধে এই কঠোর নির্দেশ জারি করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এখন পিপিবিএল গ্রাহক এবং সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীদের সুবিধার কথা মাথায় রেখে আরবিআই ১৫ দিনের অতিরিক্ত সময় দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এতে তাদের বিকল্প ব্যবস্থা করতে সুবিধা হবে। এর সাথে কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক বলেছে, পিপিবিএল গ্রাহকরা তাদের অ্যাকাউন্ট থেকে ব্যালেন্স ১৫ মার্চের পরেও তুলতে বা ব্যবহার করতে পারবেন। সংশ্লিষ্ট অ্যাকাউন্টে টাকা থাকলেই এই সুবিধা পাওয়া যাবে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক গ্রাহকদের এবং সাধারণ জনগণের সুবিধার্থে ৩০টি প্রায়শই জিজ্ঞাসিত প্রশ্নের একটি তালিকাও জারি করেছে। এতে অনেক পয়েন্টে পরিস্থিতি স্পষ্ট করা হয়েছে। জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন অনুসারে, ‘১৫ মার্চ, ২০২৪ এর পরে, পিপিবিএল গ্রাহকরা তাদের অ্যাকাউন্টে টাকা জমা করতে পারবেন না। সুদ, ক্যাশব্যাক, সুইপ-ইন বা অংশীদার ব্যাঙ্ক থেকে ফেরত ছাড়া অন্য কোনো ধরনের আমানত অনুমোদিত নয়। এমন পরিস্থিতিতে, অসুবিধা এড়াতে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক গ্রাহকদের ১৫ মার্চের আগে অন্য কোনও ব্যাঙ্কের সাথে বিকল্প ব্যবস্থা করার পরামর্শ দিয়েছে। অতিরিক্তভাবে, পিপিবিএল গ্রাহকদের অংশীদার ব্যাঙ্কগুলির কাছে থাকা বিদ্যমান আমানতগুলি ব্যালেন্স সীমা (স্বতন্ত্র গ্রাহক প্রতি ২ লক্ষ টাকা) সাপেক্ষে পিপিবিএল অ্যাকাউন্টে ফিরিয়ে আনা যেতে পারে। কিন্তু ১৫ মার্চের পরে, পিপিবিএল-এর মাধ্যমে অংশগ্রহণকারী ব্যাঙ্কগুলিতে কোনও নতুন আমানত গ্রহণ করা যাবে না। এর সাথে, গ্রাহকরা ১৫ মার্চের পরে পিপিবিএল অ্যাকাউন্টে বেতন এবং পেনশন জমা করতে পারবেন না। পিপিবিএল এর মাধ্যমে মাসিক কিস্তি বা ওটিটি সাবস্ক্রিপশন প্রদানকারী গ্রাহকদেরও বিকল্প ব্যবস্থা করতে হবে।