সুপ্রিম কোর্ট কেন্দ্র সরকারের রাজনৈতিক তহবিলের জন্য নির্বাচনী বন্ড স্কিম বাতিল করেছিল। স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়াকে (এসবিআই) ৬ মার্চের মধ্যে নির্বাচন কমিশনকে ২০১৯ সালের এপ্রিল থেকে সমস্ত নির্বাচনী বন্ডের বিশদ বিবরণ সরবরাহ করার নির্দেশ দিয়েছেল। কিন্তু এই সময়সীমাও পেরিয়ে গেছে। নির্বাচনী বন্ড মামলায় এসবিআই-এর বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে অবমাননার পিটিশন দায়ের করা হয়েছে। এই পিটিশনটি অ্যাসোসিয়েশন ফর ডেমোক্রেটিক রাইটস অর্থাৎ এডিআর দায়ের করেছে। নির্বাচনী বন্ড সংক্রান্ত তথ্য না দেওয়ার জন্য এডিআর সুপ্রিম কোর্টে এই আবেদন করেছে।
অভিজ্ঞ আইনজীবী প্রশান্ত ভূষণ আজ সুপ্রিম কোর্টকে জানিয়েছেন, অ্যাসোসিয়েশন ফর ডেমোক্র্যাটিক রিফর্মস স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া-এর বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের সাংবিধানিক বেঞ্চের দেওয়া রায়কে ইচ্ছাকৃতভাবে অমান্য করার জন্য একটি অবমাননা পিটিশন দায়ের করেছে। এডিআর, সুপ্রিম কোর্টে একটি পিটিশন দাখিল করে বলেছে, এসবিআই-এর ৬ মার্চ তথ্য না দেওয়ার পদক্ষেপ শুধুমাত্র নাগরিকদের তথ্যের অধিকার লঙ্ঘন করেনি বরং ইচ্ছাকৃতভাবে শীর্ষ আদালতের কর্তৃত্বকে ক্ষুণ্ণ করেছে। প্রশান্ত প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চের সামনে উল্লেখ করেছেন, এসবিআই সময় বাড়ানোর জন্য একটি আবেদন করেছে যা সোমবার তালিকাভুক্ত হতে পারে। এদিকে এডিআর আদালত অবমাননার আবেদন করেছে। তিনি বলেন, আমরা অনুরোধ করছি যে আমাদের আবেদনও এর সাথে তালিকাভুক্ত করা হোক।
এর পরে প্রধান বিচারপতি সমস্ত আনুষ্ঠানিকতা শেষ করে ভূষণকে রেজিস্ট্রিতে একটি ইমেল পাঠাতে বলেছেন। তিনি সেই ইমেলে অর্ডারটি পাস করবেন। সোমবার এই বিষয়টি সুপ্রিম কোর্টে উঠতে পারে।
উল্লেখ্য, এসবিআই ৩০ জুন পর্যন্ত সময় চেয়েছে সুপ্রিম কোর্টের কাছে। এবার এসবিআইয়ের এই পদক্ষেপ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বিরোধী দলগুলি৷ তাদের অভিযোগ, এমন কোন কারণে এসবিআই লোকসভা নির্বানের আগে এই তথ্য দিতে চাইনা? এনিয়ে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীও নিশানা করেছিলেন। রাহুল গান্ধী মাইক্রো ব্লগিং সাইট এক্স-এ কেন্দ্রীয় সরকারকে নিশানা করে লিখেছেন, “নরেন্দ্র মোদী অনুদানের ব্যবসা লুকানোর জন্য তার সমস্ত শক্তি লাগিয়েছেন। যখন সুপ্রিম কোর্ট বলেছে যে নির্বাচনী বন্ড সম্পর্কে সত্য জানা দেশবাসীর অধিকার, তাহলে এসবিআই কেন চায় নির্বাচনের আগে এই তথ্য প্রকাশ্যে না আসুক? রাহুল গান্ধী আরও বলেছিলেন, এক ক্লিকে পাওয়া যেতে পারে এমন তথ্যের জন্য ৩০ জুন পর্যন্ত সময় চাওয়া হলে দেখা যায় যে ‘ডাল ম্যে কুছ ক্যালা হ্যে’ । দেশের প্রতিটি স্বাধীন সংগঠন ‘মোদানি পরিবার’ হয়ে নিজেদের দুর্নীতি ঢাকতে চাইছে। নির্বাচনের আগে মোদির ‘আসল মুখ’ লুকানোর এটাই শেষ চেষ্টা।”