ভারতে দ্রুত বাড়ছে বৈষম্য, সবচেয়ে ধনী ১ শতাংশ লোকের কাছে দেশের সম্পদের ৪০ শতাংশ

দেশের ১ শতাংশ ধনী ব্যক্তির আয় ও সম্পদ সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে। দেশের মোট সম্পদের ৪০.১ শতাংশের মালিক এই ব্যক্তিরা। মোট আয়ে তাদের অংশীদার ২২ দশমিক ৬ শতাংশ। ভারতের শীর্ষ ১ শতাংশ মানুষের আয়ের অংশ বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে বেশি। এই পরিসংখ্যান দক্ষিণ আফ্রিকা, ব্রাজিল এবং আমেরিকার উপরে চলে গেছে।

বিলিয়নিয়ার রাজের উত্থান শীর্ষক ওয়ার্ল্ড ইনইক্যালিটি ল্যাবের রিপোর্ট অনুসারে, ভারতে বৈষম্য গত আর্থিক বছরে ব্রিটিশ রাজের তুলনায় বেশি হয়েছে। স্বাধীনতার পর, ১৯৮০-এর দশকের শুরু পর্যন্ত ধনী-গরিবের মধ্যে আয় এবং সম্পদের ব্যবধান হ্রাস পেলেও ২০০০-এর দশকে তা রকেটের মতো বেড়েছে। প্রতিবেদন অনুসারে, আয় বৈষম্য ২০১৪-১৫ এবং ২০২২-২৩ এর মধ্যে সবচেয়ে দ্রুত বৃদ্ধি পেয়েছে। এর পেছনে দায়ী কর সংক্রান্ত নীতি। বিশ্বব্যাপী উদারীকরণের চলমান অর্থনৈতিক তরঙ্গের সুবিধা নিতে, আয় এবং সম্পদ উভয়ের উপর কর আরোপ করা গুরুত্বপূর্ণ। স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও পুষ্টির মতো বিষয়ে সরকারি বিনিয়োগ বাড়াতে হবে। এর মাধ্যমে শুধু ধনী শ্রেণীই নয়, একজন গড় ভারতীয়ও উন্নতি করতে পারবে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ১৯২২ সালে দেশের শীর্ষ ১ শতাংশ ধনী আয়ের অংশ ছিল ১৩ শতাংশ।  ১৯৮২ সালের মধ্যে এই সংখ্যাটি ৬.১ শতাংশে নেমে আসে। এর জন্য তৎকালীন সরকারের সামাজিক নীতিকে দায়ী করা হয়। ১৯৯১ সালে অর্থনৈতিক উদারীকরণের সূচনার পর এই সংখ্যা ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে। এটি ২০২২ সালে সর্বোচ্চ ২২.৬ শতাংশে পৌঁছেছিল। এই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই ধনী পরিবারের সম্পদের দিকে তাকালে দেখা যায় যে ভারতের আয়কর ব্যবস্থা অপর্যাপ্ত। ভারতের অর্থনৈতিক তথ্যের মানও খুবই খারাপ।  সম্প্রতি এর কমতি দেখা গেছে। ভারতের উচিত আয়কর ব্যবস্থায় পরিবর্তন আনা। যদি ২০২৩ অর্থবছরের মধ্যে ১৬৭টি ধনী পরিবারের নিট সম্পদের উপর দুই শতাংশের সুপার ট্যাক্স আরোপ করা হয়, তাহলে দেশের মোট আয় ০.৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেতে পারে। যা বৈষম্যের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সাহায্য করবে।

সর্বশেষ সংবাদ

জনপ্রিয় গল্প

সর্বশেষ ভিডিও