কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর লেটার হেডে সীমান্তে গোমাংস পাচারের অনুমতি, অভিযোগ সাংসদ মহুয়া মৈত্রের

কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর বিরুদ্ধে বড় অভিযোগ করলেন তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ। মহুয়া মৈত্র দাবি করেছেন, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর বাংলাদেশের সীমান্ত অতিক্রম করার জন্য চোরাকারবারীদের কাছে তাঁর লেটার হেডে গোমাংস নিয়ে যাওয়ার অনুমতি দিয়ে চিঠি দিচ্ছেন। মহুয়া মৈত্রও কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর লেটার হেডের ছবি সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ‘এক্স’-এ শেয়ার করেছেন। ৮৫ ব্যাটালিয়ন বিএসএফের কোম্পানি কমান্ডারকে এই চিঠি দেওয়া হয়েছে। মহুয়া যে লেটার হেড শেয়ার করেছেন তা হল জাহাজ, নৌপরিবহন ও জলপথ প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুরের। শান্তনু ঠাকুর বনগাঁর সাংসদ। লেটার হেডগুলি একটি ফর্মের আকারে থাকে। এতে একজন ব্যক্তির নাম, তার ঠিকানা, আধার নম্বর, লাগেজ এবং তার ওজন বিএসএফ-এর ৮৫ ব্যাটালিয়নের কোম্পানি কমান্ডারকে লেখা হয়। প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুরের লেটারহেডে লেখা আছে, ৩ কেজি ‘গোমাংস বহনকারী গাড়ি কোথাও থামানো চলবে না। প্রতিমন্ত্রীর এই চিঠিতে সীমান্ত নিরাপত্তা বাহিনীর ৮৫তম ব্যাটালিয়নের কোম্পানি কমান্ডার ‘বিএসএফ’-এর কথা উল্লেখ করা হয়েছে।

মহুয়া মৈত্র ‘এক্স’ হ্যান্ডেলে লিখেছেন, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তাঁর অফিসিয়াল লেটারহেডে লিখছেন বিএসএফের ৮৫ তম ব্যাটালিয়নকে পাস দেওয়ার জন্য। মহুয়া মৈত্র লিখেছেন, এই পাসটি ভারত-বাংলা সীমান্তে চোরাকারবারিদের জন্য। তাও তিন কেজি গোমাংসের অনুমতি দেওয়ার জন্য। লেটারহেডে যাকে অনুমতি দিতে বলা হয়েছে তার নাম জিয়ারুল গাজী। ঠিকানার জায়গায় হাকিমপুর লেখা আছে। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির আধার কার্ড নম্বরও লেখা রয়েছে। লেটারহেডে প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুরের স্বাক্ষর ও সিল রয়েছে।

https://x.com/MahuaMoitra/status/1810189579221144054?t=g28XNhB6KeOfT8z6_1DHvQ&s=19

এদিকে শান্তনু ঠাকুর বলেছেন, এলাকার ৮৫ ব্যাটালিয়নে কিছু লোক টিএমসির সাথে যুক্ত, তাই সেখানে পক্ষপাতিত্ব হচ্ছে এবং টিএমসির সাথে যুক্ত লোকেরা রাজনৈতিক পৃষ্ঠপোষকতা পাচ্ছে। তাই ওই এলাকায় ভারসাম্য বজায় রাখতে এসব পাস দিয়েছি। শান্তনু ঠাকুর বলেন, বাগদা বিধানসভা উপনির্বাচনের আগে পুরো বিষয়টিকে নেতিবাচক প্রচার করা হচ্ছে।
এইচটি বাংলার প্রতিবেদন অনুযায়ী, শান্তনু বলেন, ‘আমার নামে ভুল প্রচার করা হচ্ছে। আমি এই বিষয়ে আইনত ব্যবস্থা নেব । যে ব্যক্তির সার্টিফিকেট নিয়ে এই অপপ্রচার করা হচ্ছে সেই ব্যক্তির নাম জহিরুল গাজী।’ প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, এবিষয়ে জহিরুল গাজী জানিয়েছেন, তিনি শান্তনু ঠাকুরের সার্টিফিকেট নিয়ে মাংস নিয়ে গিয়েছিলেন। তিনি পাচারের সঙ্গে জড়িত নন।

সর্বশেষ সংবাদ

জনপ্রিয় গল্প

সর্বশেষ ভিডিও