বাংলাদেশে অবরোধ কর্মসূচি পালন করছে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনকারীরা। শিক্ষার্থীদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে পুলিশ-বিজিবি-র্যাবের ন্যক্কারজনক হামলা, খুনিদের বিচার, সন্ত্রাসমুক্ত ক্যাম্পাস নিশ্চিতকরণ এবং কোটার যৌক্তিক সংস্কারের দাবিতে এই ডাক দিয়েছিল আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থী, নিরাপত্তা কর্মকর্তা এবং সরকারপন্থী আওয়ামী লীগের কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের পর ব্যাপক সহিংসতা বাংলাদেশকে গ্রাস করেছে। একের পর এক শিক্ষার্থীর নিহতের খবর সামনে এসেছে।
এদিকে প্রতিবেশী দেশে চলমান আন্দোলনের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেছে বেশ কয়েকটি বামপন্থী ছাত্র সংগঠন ও মানবাধিকার সংগঠন। শুক্রবার কলকাতায় বাংলাদেশ ডেপুটি হাইকমিশনের কাছে বিক্ষোভ মিছিল করে। বাংলাদেশে গত কয়েকদিনে বিক্ষোভের সময় আন্দোলনকারীদের উপর নিরাপত্তা বাহিনীর পদক্ষেপের বিরুদ্ধে কলকাতাই প্লাকার্ড হাতে স্লোগান দিতে দেখা গেছে। নারীসহ শত শত সামাজিক কর্মী চারুকলা একাডেমির কাছে জড়ো হয়। বাংলাদেশ ডেপুটি হাই কমিশনের দিকে যাওয়ার চেষ্টা করলে এক্সাইড ক্রসিংয়ের কাছে পুলিশ বাধা দেই। পুলিশ এবং বিক্ষোভকারীদের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়, যার পরে বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করে কলকাতা পুলিশ সদর দফতরে নিয়ে যাওয়া হয়। সংবাদ সংস্থা পিটিআই এর খবরানুযায়ী, একজন পুলিশ কর্মকর্তা বলেছেন, “বিক্ষোভকারীদের মধ্যে শুধু ছাত্র নয়, মানবাধিকার সংগঠনের সদস্যরাও ছিলেন। বেশ কয়েকজন বিক্ষোভকারীকে গ্রেপ্তার করে লালবাজার পুলিশ সদর দফতরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।”
উল্লেখ্য, বাংলাদেশে পুলিশ এবং নিরাপত্তা কর্মকর্তারা বিক্ষোভকারীদের উপর গুলি ও কাঁদানে গ্যাসের শেল নিক্ষেপ করে। এতে বহু মানুষ হতাহত হয়েছে। শুক্রবার রাজধানী ঢাকায় সমস্ত জমায়েত নিষিদ্ধ করেছে প্রশাসন। কয়েকদিন ধরে মারাত্মক সংঘর্ষের পর ইন্টারনেট এবং মোবাইল পরিষেবা বন্ধ হয়ে গেছে।