আইআইটি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েও ছাগল চরাতে বাধ্য, সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিলেন কে?

একদিকে অর্থের জোরে মানুষ প্রশ্ন ফাঁসের মাধ্যমে পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে দেশ ও নিজেদের সাথে প্রতারণা করছে। অন্যদিকে অনেক মেধাবী শিক্ষার্থী আছে, যারা তাদের নিষ্ঠা ও পরিশ্রমের কারণে পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলেও দারিদ্র্য ও আর্থিক সীমাবদ্ধতার কারণে লেখাপড়া করতে পারছে না। তেলেঙ্গানার রাজন্না সিরসিল্লা জেলার ছাত্রী মধুলতার গল্পও একই রকম। আপনি জেনে অবাক হবেন, মধুলতা জেইই পরীক্ষায় মেধা তালিকায় স্থান পেয়েছে। ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি (আইআইটি) পাটনায় ভর্তি হওয়ার সুযোগ পেয়েছে। কিন্তু পড়াশোনার পরিবর্তে মধুলতা আর্থিক সমস্যার কারণে ছাগল চরাতে বাধ্য হয়েছিল। এ কথা তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী রেভান্থ রেড্ডি বিষয়টি জানতে পেরে মধুলতাকে সাহায্য করতে এগিয়ে আসেন।

আইএএনএস-এর রিপোর্ট অনুযায়ী, মধুলতা একটি আদিবাসী পরিবার থেকে এসেছেন।তার আর্থিক অবস্থা খুব একটা ভালো নয়। মধুলতা এই বছর জেইই-তে তফসিলি উপজাতি (এসটি) বিভাগে ৮২৪ তম স্থান অর্জন করেছে। বি.টেক পড়ার জন্য আইআইটি পাটনায় সুযোগ পেয়েছেন। তবে আর্থিক অনটনের কারণে পরিবারটি আড়াই লাখ টাকা ফি ও অন্যান্য খরচের ব্যবস্থা করতে পারেনি। যার কারণে বি.টেক-এ ভর্তি হতে পারছিলেন না। একজন কৃষি শ্রমিকের মেয়ে মধুলতা গত মাসে ভর্তির জন্য মাত্র ১৭,৫০০ টাকা দিতে পেরেছিলেন। দরিদ্র পরিবারের টিউশন ফি এবং অন্যান্য খরচের জন্য ২.৫১ লক্ষ টাকার ব্যবস্থা করার কোনও উপায় ছিল না। বাবা অসুস্থ থাকায় পরিবারের ভরণ-পোষণের জন্য নিজ গ্রামে ছাগল চরাতে বাধ্য হন। এদিকে ২৭ জুলাইয়ের মধ্যে ফি দিতে হবে তাঁকে। এই কারনে ট্রাইবাল ওয়েলফেয়ার জুনিয়র কলেজের শিক্ষকরা কর্তৃপক্ষের কাছে তাদের ছাত্রীকে সাহায্য করার জন্য আবেদন করেছিল। আদিবাসী মেয়েটির পরিস্থিতি বিবেচনা করে, রাজ্য সরকার তাকে তার শিক্ষা চালিয়ে যেতে সাহায্য করার জন্য আর্থিক সহায়তার নির্দেশ দেয়। তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী রেড্ডি আর্থিক সমস্যার সম্মুখীন হওয়া সত্ত্বেও মর্যাদাপূর্ণ প্রতিষ্ঠানে একটি আসন নিশ্চিত করার জন্য মধুলাতাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। বুধবার ‘এক্স’-এ একটি পোস্টে, তিনি বলেছেন, আদিবাসী কল্যাণ বিভাগ তার শিক্ষা চালিয়ে যাওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ প্রকাশ করেছে।

সর্বশেষ সংবাদ

জনপ্রিয় গল্প

সর্বশেষ ভিডিও