বিদ্যালয়ের শিক্ষক মাত্র একজন! ক্লাস নিতে হয় শিক্ষার্থীদের

বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সংখ্যা ৮১ জন। পঞ্চম থেকে অষ্টম শ্রেনি থেকে পড়াশোনা হয়। অথচ এই বিদ্যালয়ের শিক্ষক মাত্র ১ জন! নেই কোন গ্রুপ ডি কর্মীও। সেই শিক্ষকই আবার ক্লাস নেন। তিনি আবার মিড ডে মিল দেখাশোনা করেন। কোন কর্মচারী না থাকাই অফিসের সব কাজও সেই শিক্ষক করেন৷ চারটা শ্রেণির সেই শিক্ষক ক্লাস নেবেন, না অন্য কোন কাজ করবেন, এতে হিমশিম খেতে হয়। এমন পরিস্থিতিতে ছোটদের ক্লাস নেন অষ্টম শ্রেনির ছাত্রছাত্রীরাই। কখনো আবার সপ্তম শ্রেণির ছাত্রদেরও ক্লাস নিতে হয়। শিক্ষার এমন বেহাল দশার চিত্রটি মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুর ১ ব্লকের মহেন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের গাংনদিয়া বাংরুয়া মাধ্যমিক শিক্ষা কেন্দ্রের। টিভি নাইন বাংলার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০০১ সাল থেকে ৬ জন শিক্ষক নিয়ে এই শিক্ষাকেন্দ্রের যাত্রা শুরু হয়। ২০০৩ সালে সরকারি অনুমোদন হয়। এরপর দুজন শিক্ষকের বেতন চালু হয়। ধীরে ধীরে বাকিদের বেতন চালু হয়। এরপর একজন শিক্ষক মারা যান এবং পরবর্তীতে বাকি চার জন শিক্ষক অবসর নিয়েছেন। ২০২২ সাল থেকে আর কোনও শিক্ষক নিয়োগ হয়নি। গত দুই বছর থেকে বিদ্যালয়টির ১ মাত্র শিক্ষক রাহানুল হক। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকও তিনি। তাঁকেই সব কাজ সামলাতে হয় বলে জানিয়েছেন তিনি। এদিকে স্থানীয়দের অভিযোগ, শিক্ষক না থাকাই বিদ্যালয়ে কেউ যেতে চাই না। এমন চলতে থাকলে অচিরে বিদ্যালয়টি উঠে যাবে বলে আশঙ্কা স্থানীয়দের।

সর্বশেষ সংবাদ

জনপ্রিয় গল্প

সর্বশেষ ভিডিও