দিল্লিতে এইমস চিকিৎসকের আত্মহত্যা, ঘটনাস্থলেই উদ্ধার সুইসাইড নোট

কলকাতার আরজি কর হাসপাতালের এক মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের অভিযোগে উত্তেজনার মধ্যে দিল্লি এইমসের এক চিকিৎসক আত্মহত্যা করেছেন।সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ৩৪ বছর বয়সী ওই চিকিৎসক ওষুধের ওভারডোজ গ্রহণ করতেন। ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ এসে চিকিৎসকের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। এক পুলিশ কর্মকর্তা জানান, কোনো বিষয় নিয়ে স্ত্রীর সঙ্গে চিকিৎসকের বিরোধ চলছিল। রাখীবন্ধনে বাবা-মায়ের বাড়িতে গিয়েছিলেম চিকিৎসকের স্ত্রী। ওই চিকিৎসক ওষুধের ওভারডোজ গ্রহণ করেছিলেন, কিন্তু এখন পর্যন্ত বিষয়টির তদন্ত চলছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে বলে জানান এক পুলিশ কর্মকর্তা।

পিটিআই জানিয়েছে, গুজরাটের রাজকোটের বাসিন্দা রাজ ঘোনিয়া। ওভারডোজ নেওয়ার কারণে মারা গেছেন। এলাকায় তার বাড়িতে ব্যবহৃত ওষুধ এবং সিরিঞ্জের শিশি পাওয়া গেছে। পিটিআই একজন সিনিয়র পুলিশ অফিসারকে উদ্ধৃত করে বলেছে, “রবিবার দুপুর ২টার দিকে, গৌতম নগর এলাকায় একজন ডাক্তারের আত্মহত্যার বিষয়ে হাউজ খাস থানায় একটি পিসিআর কল আসে। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে ঘোনিয়াকে অজ্ঞান অবস্থায় দেখতে পায়।” এইমস চিকিৎসক একটি সুইসাইড নোটও লিখেছেন। তাতে তিনি মৃত্যুর জন্য কাউকে দায়ী করেন নি। পুলিশ জানিয়েছে, ওই চিকিৎসক দিল্লির এইমস হাসপাতালের নিউরোসার্জারি বিভাগে কর্মরত ছিলেম। গৌতম নগরে তাঁর বাড়িতে এইমস হাসপাতালের নিউরোসার্জনের মৃতদেহ পাওয়া গেছে। এ ব্যাপারে আশপাশের লোকজনকেও জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।

এবিপির খবরে বলা হয়েছে, প্রাথমিক তদন্তে ধারণা করা হচ্ছে অতিরিক্ত ডোজে মৃত্যু হয়েছে। পুলিশ আপাতত ময়নাতদন্ত রিপোর্টের অপেক্ষায় রয়েছে। একটি মামলা নথিভুক্ত করা হয়েছে, এবং একটি তদন্ত চলছে। সূত্রগুলি ইঙ্গিত দেয়, চিকিৎসক রাজ ঘোনিয়ার স্ত্রীও একজন ডাক্তার এবং এই দম্পতির ঘরোয়া দ্বন্দ্ব চলছিল। তদন্ত শেষ হলে আরও তথ্য জানানো হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

সর্বশেষ সংবাদ

জনপ্রিয় গল্প

সর্বশেষ ভিডিও