ইউপিতে হৃদয় বিদারক ঘটনা, মেয়েকে হত্যা করে লাশ টুকরো টুকরো করলেন বাবা

উত্তরপ্রদেশের বাহরাইচ থেকে এক মর্মান্তিক ঘটনা সামনে এসেছে। এক বাবা তার সম্মানের জন্য তার ১৭ বছরের মেয়েকে নৃশংসভাবে হত্যা করেছে। তিনি প্রথমে শরীর থেকে মাথা আলাদা করেন এবং তারপর লাশটিকে কয়েক টুকরো করেন। এ ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। বলা হচ্ছে, মেয়ের প্রেমের ঘটনায় ক্ষুব্ধ বাবা। তিনি তার মেয়েকে কয়েকবার বুঝিয়ে বললেও সে রাজি হয়নি। যার জের ধরে তিনি এ ঘটনা ঘটিয়েছেন। জানা গিয়েছে, ধড় থেকে মাথা আলাদা করার পর লাশ কেটে ছয় টুকরো করা হয়। হত্যার পর বাবার মুখে কোনো আফসোসের ছাপ ছিল না। মেয়ের প্রেমের সম্পর্কে ক্ষিপ্ত হয়ে বাবা এ অপরাধ করেছেন বলে শোনা যাচ্ছে। পুলিশ অভিযুক্তকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে।

ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহের টুকরো সংগ্রহ করে। এরপর টুকরোগুলো ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয় এবং মামলার তদন্ত শুরু হয়। অভিযুক্ত বাবাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে মতিপুর এলাকার লক্ষ্মণপুর মেঠী গ্রামে। এখানে বসবাসকারী নাঈম খানের ১৭ বছর বয়সী মেয়ে খুশবুর একই গ্রামের এক যুবকের সঙ্গে সম্পর্ক চলছিল। বলা হচ্ছে, সোমবার মেয়েকে প্রেমিকের সঙ্গে দেখেছেন বাবা। নাঈম খানকে দেখে ওই যুবক পালিয়ে যায়। কিন্তু ক্ষুব্ধ বাবা তার মেয়েকে কয়েকবার কুপিয়ে হত্যা করে। শরীর থেকে মাথা, হাত ও পা বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। এরপর মেয়ের লাশের কাছে বসে থাকে বাবা।

ঘটনার খবর পাওয়া মাত্রই পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছে বিকৃত দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। অভিযুক্ত বাবাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ বলছে, বিষয়টি গভীরভাবে তদন্ত করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।  এ বিষয়ে আরও তথ্য দিতে গিয়ে এক কর্মকর্তা বলেন, যুবম এবং মেয়েটিও তার সঙ্গে কয়েকবার পালিয়ে গেছে। এরপর দুটি ভিন্ন থানায় প্রেমিকের বিরুদ্ধে এফআইআরও দায়ের করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে অভিযুক্ত বাবা জানায়, তার চার মেয়ে রয়েছে এবং বড় মেয়ের প্রেমের সম্পর্ক তার ছোট মেয়েদের ওপর প্রভাব ফেলছিল। গ্রামের সর্বত্র মানহানি ছিল, যার কারণে তাকে এই পদক্ষেপ নিতে হয়েছে।  

সর্বশেষ সংবাদ

জনপ্রিয় গল্প

সর্বশেষ ভিডিও