রঞ্জিতে বিদর্ভকে হারিয়ে ৪২তম খেতাব জয় মুম্বইয়ের

মুম্বাই দল রেকর্ড ৪২তম রঞ্জি ট্রফি শিরোপা জিতেছে। ফাইনালে বিদর্ভ দলের স্বপ্ন ভেঙে চুরমার হয়ে যায় মুম্বাইয়ের আধিপত্যে।  ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে রঞ্জি ট্রফির ফাইনাল ম্যাচে বিদর্ভকে ১৬৯ রানে হারিয়েছে মুম্বাই দল। ফাইনাল ম্যাচে শুরু থেকেই বিদর্ভের ওপর আধিপত্য বজায় রেখেছিল মুম্বাই দল।  বিদর্ভকে জয়ের জন্য ৫৩৮ রানের বিশাল টার্গেট দিয়েছিল মুম্বাই। এই অসম্ভব লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে চতুর্থ ইনিংসে ৩৬৮ রানে অলআউট হয়ে যায় বিদর্ভ দল। এতে বিদর্ভের তৃতীয়বারের মতো রঞ্জি ট্রফি শিরোপা জয়ের স্বপ্ন ভেঙ্গে গেল। ৮ বছর পর রঞ্জি ট্রফির শিরোপা জিতেছে মুম্বই।  শেষবার মুম্বাই দল ২০১৫-১৬ রঞ্জি ট্রফি মরসুমে সৌরাষ্ট্রকে হারিয়ে শিরোপা জিতেছিল। ফাইনালে ম্যাচের সেরা নির্বাচিত হন সেঞ্চুরি করা সরফরাজের ভাই মুশির খান।

৫৩৮ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে দুর্দান্ত প্রত্যাবর্তন করেছে বিদর্ভ দল। চতুর্থ দিনের খেলা শেষে বিদর্ভের স্কোর বোর্ডে ২৪৮ রান।  দলকে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার জন্য আরও ২৯০ রান করতে হতো। কিন্তু তনুশ কোতিয়ান অক্ষয়কে এলবিডব্লিউ আউট করে পঞ্চম দিনে মুম্বাইকে ম্যাচে ফিরিয়ে আনে। তা ছাড়াও তুষার দেশপান্ডে এবং কুলকার্নিও দুর্দান্ত বোলিং করেছেন। মুম্বাই দলের ব্যাটসম্যান ও বোলার উভয়ের পারফরম্যান্স ছিল চমৎকার। বিদর্ভের বিরুদ্ধে ফাইনাল ম্যাচে, মুম্বাইয়ের হয়ে তনুশ কোটিয়ান উভয় ইনিংস মিলিয়ে মোট ৭ উইকেট নিয়েছিলেন।  প্রথম ইনিংসে ৩ উইকেট, দ্বিতীয় ইনিংসে তনুশ পান ৪ উইকেট।  দ্বিতীয় ইনিংসে বোলিংয়ে মুশির খান নেন ২ উইকেট। ২০২৪ সালের রঞ্জি ট্রফির ফাইনালে মুম্বাই দল প্রথম ইনিংসে ২২৪ রানে গুটিয়ে যায়। প্রথম ইনিংসে মুম্বাইয়ের হয়ে সর্বোচ্চ ৭৫ রান করেন শার্দুল ঠাকুর। বিদর্ভ দলের হয়ে প্রথম ইনিংসে হর্ষ দুবে এবং যশ ঠাকুর ৩টি করে উইকেট নেন, উমেশ ২টি ও আদিত্য ১টি উইকেট পান। এরপর মুম্বাইয়ের দ্বিতীয় ইনিংসে বাজে শুরুর পর মুশির খানের ব্যাট প্রচণ্ড গর্জে ওঠে। মুশির ৩২৬ বল মোকাবেলা করে ১৩৬ রানের ইনিংস খেলেন। ৭৩ রান করে আউট হন অধিনায়ক অজিঙ্কা রাহানে।  ৯৫ রান এসেছে শ্রেয়াস আইয়ারের ব্যাট থেকে। শামস মুলানি হাফ সেঞ্চুরি করেন।

সর্বশেষ সংবাদ

জনপ্রিয় গল্প

সর্বশেষ ভিডিও