সিভিল সার্ভিসে উত্তীর্ণদের মধ্যে কর্ণাটকে প্রথম মুসলিম মহিলা তাহসিন বানু

টিএইচজি বাংলা ডেস্ক: কর্নাটকে হুবলির সাউথ ওয়েস্টার্ন রেলওয়ে উইমেন্স ওয়েলফেয়ার অর্গানাইজেশন দ্বারা পরিচালিত স্কুলের ইতিহাসে সোমবার ছিল একটি গুরুত্বপূর্ণ দিন। ৩২ বছরের ইতিহাসে নজির সৃষ্টি করা একমাত্র শিক্ষার্থীর জন্য এক মেগা সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল, যিনি এক সপ্তাহ আগে ঘোষিত ফলাফলে সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। তার নাম তাহসিন বানু দাওয়াদি। তিনি কর্নাটক থেকে সিভিল সার্ভিসে উত্তীর্ণ ২৬ জনের মধ্যে অন্যতম ও একমাত্র মুসলিম মহিলা। তাহসিন একজন অবসরপ্রাপ্ত পণ্যবাহী ট্রেন গার্ডের কন্যা। তাহসিন তার দ্বিতীয় প্রচেষ্টায় ৪৮২ তম স্থান অর্জন করেন সিভিল সার্ভিসে। ২০১২ সালে রেলওয়ে থেকে চিফ ট্রেন ক্লার্ক হিসেবে অবসর নেওয়া তাহসিনের বাবা কাদের বাশা বলেন, সিভিল সার্ভিসের ফল বের হওয়ার পর আমি খুব খুশি হয়েছিলাম। আমি আত্মবিশ্বাসী ছিলাম যে মেয়ে উত্তীর্ণ হবে। আমার দুই ছেলে ও দুই মেয়ে সবাই লেখাপড়ায় ভালো। এটি আমার জন্য একটি গর্বের মুহূর্ত ছিল যখন জেনারেল ম্যানেজার, এসডব্লিউআর এবং বিভাগীয় রেলওয়ে ম্যানেজার, হুব্বালি আমাদের তাদের অফিসে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। সেই সঙ্গে আমার মেয়েকে সম্মানিত করেছিলেন।

২৪ বছর বয়সি তাহসিন বানু দাওয়াদি, যিনি ২০১৯ সালে ধারওয়াদের কৃষি বিজ্ঞান বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কৃষি বিষয়ে স্নাতক হন। তিনি যখন তার স্নাতকের শেষ বর্ষে পড়াশোনা করছিলেন তখন সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় তার দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। তাহসিন এ ব্যাপারে সংবাদমাধ্যমকে বলেন, আমার বাবা এবং মা হাসিনা বেগম আমাকে সমর্থন করেছিলেন। এমনকি আমার প্রশিক্ষণের জন্য মুম্বাইয়ের মুম্বাই হজ হাউসে পাঠিয়েছিলেন, যা সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রণালয় দ্বারা পরিচালিত হয়। আমি ২০২০ সালে আমার প্রথম প্রচেষ্টায় প্রিলিমস পরীক্ষায়ও উত্তীর্ণ হতে পারিনি। তবে ২০২১ সালে আমার পরবর্তী প্রচেষ্টায়, আমি প্রিলিমস, মেইনস এবং ইন্টারভিউয়ে সফল হয়েছি। আমি আত্মবিশ্বাসী ছিলাম যে আমি এবার উত্তীর্ণ হব। কারণ, দিল্লির জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়ার আবাসিক কোচিং একাডেমি থেকেও কোচিং নিয়েছিলাম। তাহসিন আরও বলেন, “এটা আমার জন্য একটি বিস্ময়ের বিষয় ছিল যে আমি সিভিল সার্ভিসে উত্তীর্ণ ৬৮০ এর মধ্যে ৪৮২তম স্থান অর্জন করেছি। আমি ভেবেছিলাম পাঁচশো পেরিয়ে যাবে আমার স্থান। আমিই কর্নাটকের একমাত্র মুসলিম মেয়ে যে সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে। আমলাতন্ত্রে কর্মজীবন শুরু করার আগ্রহ প্রকাশ করে তিনি বলেন, আমি সিভিল সার্ভিসের প্রতি আগ্রহী ছিলাম, কারণ এটি সরাসরি সমাজের সেবা করার সুযোগ দেয়। আপনজন সহ একাধিক মিডিয়া খবরটি প্রকাশ করেছে।

সর্বশেষ সংবাদ

জনপ্রিয় গল্প

সর্বশেষ ভিডিও