চল্লিশ হাজার খরচ করে আখ চাষে বিঘা প্রতি মিলছে দেড় লাখ টাকা!

তিরিশ- চল্লিশ হাজার খরচ করে আখ চাষে বিঘা প্রতি মিলছে দেড় লাখ টাকা। প্রায় এক বছর সময়ের এই আবাদে তাই ঝোঁক বাড়ছে কৃষকদের। হুগলি, বর্ধমান,নদীয়া, মুর্শিদাবাদ সহ বিভিন্ন জেলায় আখ চাষ হয়। চাষীরা জানাচ্ছেন, এই চাষে ব্যাপক পরিশ্রম হয়। গোটা বছর যত্ন নিতে হয়। নিয়মিত সার, সেচ, কীটনাশক দিতে হয়। আগাছা দমনে নিয়ম করে নিড়াতে হয়।
নদীয়া মুর্শিদাবাদ সীমান্তে দিয়ার মাঠে আখ চাষ করছেন রুবেল মন্ডল। তিনি জানান, কুসোরে(স্থানীয় ভাষা) ভালো লাভ, এক বিঘায় ভালো হলে এক লক্ষ কুড়ি তিরিশ হাজারে বিক্রি হয়। তবে বিশাল খাটনি, রোজ ভুঁইয়ে(জমিতে) যেতে হয়, গোড়ায় মাটি দেওয়া, বাঁশ দিয়ে সোজা করে রাখতে হয়, গোড়ার পাতা ছাড়াতে হয়। সার-বিষ দেওয়া, নিড়ানি তো আছেই।
জানা গেছে, আখচাষ উপযোগী বেলে দো-আঁশ ও পলি দো-আঁশ মাটিতে। যেসব মাটিতে জৈব পদার্থের পরিমাণ বেশি থাকে এবং রস ধারণ ক্ষমতা বেশি সেসব জমি আদর্শ। আখের জমিতে জল সেচ ও নিকাশের সুব্যবস্থা থাকতে হবে।

শনিবার বিকেলে জমিতে কীটনাশক দিচ্ছিলেন আব্দুর রউফ মুন্সি। বেশ হাসিমুখে তিনি জানালেন, আখে ভালো লাভ বলেই চাষ। কাজ করছি। আবরাপাড়ার রবি নামে একজন এক বিঘা জমির আখ দেড় লাখ টাকায় বিক্রি করলেন। আমার এখনো ওঠেনি, দেরি হবে, কী জানি কত লাভ পাবো। খরচ করে ভালো ফসল হলে ভালোই লাভ।

জানা গেছে, চিনি, গুড় ও চিবিয়ে খাওয়ার জন্য আখ ফসল চাষ করা হয়ে থাকে। কিন্তু বর্তমানে পথে ঘাটে আখের রসের চাহিদা বেড়েছে। এক রস বিক্রেতা জানান, একটা বড় ভালো আখের দাম তিরিশ টাকা। আবার এক গ্লাস রসের দাম দশ টাকা, একটা আখে আট গ্লাস, দশ গ্লাস পর্যন্ত রস হতে পারে। অনেকে তাই পুরো জমির আখ কিনে নেয়,এরপর ধীরে ধীরে বাজারে বিক্রি করে।

চাষীরা বলছেন, আখের গায়ে লাল দাগ দেখা যায়। এর পর থেকেই এই চাষে বিভিন্ন পোকার উপদ্রব বাড়ে। আখের ভিতরে পোকা থাকলে নষ্ট হয়ে যায়। তবে হুগলি, হাওড়া, বর্ধমান, বাঁকুড়া,মুর্শিদাবাদ , পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর, নদীয়া সহ বিভিন্ন জেলার বাজারে আখের ভাল চাহিদা আছে। কিন্তু সবার যে লাভ হয় এমন নয়, অনেক চাষী খরচ করেও তেমন লাভ পাননা।

সর্বশেষ সংবাদ

জনপ্রিয় গল্প

সর্বশেষ ভিডিও