আর ইন্টারভিউ নয়, নিয়োগের দাবিতে সোমবার বড় আন্দোলনের ডাক দিল ২০১৪ টেট উত্তীর্ন চাকরি প্রার্থীরা

সোমবার বড় রকম আন্দোলনের ডাক দিল প্রাইমারি ২০১৪ উত্তীর্ন চাকরি প্রার্থীরা। শুক্রবার আন্দোলনকারী নেতারা ঘোষণা করেছেন, বঞ্চনার অবসান ঘটাতে ওইদিন দরকারে পরিবারের লোকেরাও অংশ নিতে পারবেন। প্রাইমারি ২০১৪ পাস নট ইনক্লুডেড আন্দোলনকারীদের নেতা অচিন্ত্য সামন্ত ফেসবুকে লেখেন,’সোমবার ২০১৪ নট ইনক্লুডদের পরিচয় বুঝিয়ে দিতে হবে।একজনও না বাড়িতে বসে থেকে প্রয়োজনে ফ্যামিলির সবাইকে আনুন।’ মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে তার বার্তা,’ চাকরি যদি নাই দেবেন নবান্ন থেকে ঘটা করে ঘোষনা করলেন কেন?অধিকার বুঝে নিতে পশ্চিমবঙ্গের সব নট ইনক্লুডেড কলকাতা আসছি।’
আন্দোলনকারীরা বলছেন, দুর্নীতির জন্য তাদের নিয়োগ হয়নি। তাদের বক্তব্য, মুখ্যমন্ত্রী 2020 সালের 11 নভেম্বর নবান্ন থেকে প্রেস কনফারেন্সে ঘোষনা করেন 2014 প্রাইমারি টেট পাশ ট্রেন্ড 20 হাজার ক্যান্ডিডেটকে ধাপে ধাপে নিয়োগ দেওয়া হবে। যেটা পরে মানিকবাবু ভুয়ো ক্যান্ডিডেট ঢুকিয়ে 29 হাজার করে দেন। তারপর 16500 সিটে নিয়োগের জন্য অ্যাপ্লিকেশন শুরু হয়। ফর্মে লেখা ছিল এপ্লিকেশন ফর এমপানেলমেন্ট অফ আনএবসর্ব টেট ২০১৪ কুয়ালিফাইড ক্যান্ডিডেটস(Application for Empanelment of Unabsorbed Tet 2014 Qualified Candidates.)। ইন্টারভিউ দেওয়ার পর রেজাল্টে দেখায় ইউ আর নট ইনক্লুডেড ইন দা প্রেসেন্ট মেরিট লিস্ট(you are not included in the present merit list) মানে পরের লিস্টে নাম থাকতে পারে এখন ওয়েটিং। কিন্তু আর কোনো নিয়োগ হয়নি। ওয়েবসাইটে নম্বর সহ সবার মেরিটলিস্টও দেয়নি।’

আন্দোলনকারীদের মতে,’এই প্রক্রিয়ায় পর্ষদ প্রায় ১৩ হাজার নিয়োগ করে এবং বাকি নিয়োগ না করে বন্ধ করে দেয়। পরে আরটিআই মামলায় কোর্ট পর্ষদকে বলে এখনো 3929 সিটে নিয়োগ বাকি,ওটা নিয়োগ করুন। কিন্তু পর্ষদ সেই নিয়োগও না করে নতুন প্রক্রিয়া শুরু করছে,যেখানে আইনি জটিলতা আছে।’
প্রাইমারি ২০১৪ টেট উত্তীর্ণ চাকরি প্রার্থীদের অভিযোগ,’যত দুর্নীতি 2014 সালের ক্যান্ডিডেটদের সাথে হয়েছে। টাকা নিয়ে দিনের পর দিন অযোগ্যদের নিয়োগ করে গেছে,যোগ্যগুলোর বয়স 40 পার করে দিয়েছে, গভীর রাতে এসএমএস পাঠিয়ে নিয়োগ করেছে, ওএমআর সিট পুড়িয়ে দিয়েছে, সেই সূত্রে মানিক ভট্টাচার্য গ্ৰেপতারও হয়েছে। মানে যত অন্যায় 2014-র উপর। তা সত্ত্বেও 2014 কে নিয়ে সরকারের আলাদা ভাবনা নেই! এখন বলছে 2014 এবং 2017 সাল একসাথে নিয়োগ হবে। নতুনদের সাথে আমরা তো একাডেমিকেই পিছিয়ে যাবো। কি হবে ইন্টারভিউ দিয়ে যার কোনো ভবিষ্যৎ নেই। তাই আমরা এই ইন্টারভিউ বয়কট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।”

আন্দোলনকারীদের প্রশ্ন, “অবৈধভাবে নিয়োগ করে আমাদের বাদ দেওয়া হয়েছে তার কি হবে? মুখ্যমন্ত্রীর নবান্ন থেকে প্রেস কনফারেন্স করে ঘোষনা,তার কি কোনো মূল্য নেই?
প্রচুর ভ্যাকেন্সী থাকা সত্ত্বেও 2014 নট ইনক্লুডদের পুনরায় বঞ্চিত করার অপচেষ্টা কেন করছেন নতুন সভাপতি?”
মৌমিতা ঘোষ নামে একজন ফেসবুকে লিখেছেন,’মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী ও পর্ষদ সভাপতি, এখনও সময় আছে…………..!!!!নিজেদের ভুলটা শুধরে নিয়ে,সকল ২০১৪ Not Included বন্ধুদের নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি টা সময় থাকতে দিয়ে দিন। নয়তো আপনারা শেষ পরিনতির জন্য তৈরি থাকুন।”

চাকরি প্রার্থী মৌমিতা ঘোষের ফেসবুক পোস্ট

সর্বশেষ সংবাদ

জনপ্রিয় গল্প

সর্বশেষ ভিডিও