অপরিশোধিত তেল রপ্তানিতেই মনোযোগ রাশিয়ার

পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা রাশিয়ার তেলজাত পণ্য রপ্তানি এবং সেই সূত্রে তেল উৎপাদনেও বড় ধরনের প্রভাব ফেলবে বলে ধারণা করছে মস্কো, এ কারণে খুব সম্ভবত তাদেরকে আরও বেশি অপরিশোধিত তেল রপ্তানিতেই মনোযোগ দিতে হবে। বিষয়টি সম্বন্ধে ব্যাপকভাবে অবগত রাশিয়ারই এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে এ সম্ভাব্য দৃশ্যপটের কথা বলেছেন।

ইউক্রেইনে গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে সেনা পাঠানোর পর থেকে পশ্চিমা দেশগুলো রাশিয়ার ওপর একের পর এক কঠোর নিষেধাজ্ঞা দিয়ে মস্কোকে ঘায়েল করতে চাইছে।

ইউরোপীয় ইউনিয়ন গত বছরের ৫ ডিসেম্বর থেকে সমুদ্রপথে রাশিয়ার অপরিশোধিত তেল আমদানি নিষিদ্ধ করেছে; আগামী ৫ ফেব্রুয়ারি থেকে তারা রাশিয়ার তেলজাত পণ্য আমদানিও নিষিদ্ধ করতে যাচ্ছে।

সৌদি আরবের পর বিশ্বের সবচেয়ে বেশি তেল রপ্তানিকারক দেশ রাশিয়ার ওপর এমন নিষেধাজ্ঞাকে অর্থনৈতিক যুদ্ধের ঘোষণা হিসেবেই দেখছেন ভ্লাদিমির পুতিন। এ কারণে ইউরোপের বদলে এশিয়া ও দক্ষিণ আমেরিকায় নিজেদের বাজার প্রসারিত করারও তাগিদ দিয়েছেন তিনি।

“তেলজাত পণ্যের ওপর নিষেধাজ্ঞা অপরিশোধিত তেলের ওপর দেওয়া বিধিনিষেধের চেয়ে বেশি প্রভাব ফেলবে,” বলেছেন রাশিয়ান ওই কর্মকর্তা; সংবেদনশীল বিষয় হওয়ার কারণে নাম প্রকাশে রাজি হননি তিনি।

এ রুশ কর্মকর্তা জানান, নিষেধাজ্ঞার কারণে তাদেরকে এখন আরও বেশি অপরিশোধিত তেল সরবরাহে নামতে হবে।
তেলজাত পণ্য দীর্ঘদিন সংরক্ষণ করে রাখার সক্ষমতা নেই রাশিয়ার।

অন্যদিকে অপরিশোধিত তেল রপ্তানি তেলজাত পণ্যের চেয়ে সহজ। তেলজাত পণ্য সরবরাহে ছোট ট্যাংকার হলেও চলে, বিক্রি করতে হয় কাছাকাছি অঞ্চলে। অন্যদিকে অপরিশোধিত তেল এশিয়া, আমেরিকার দূরদূরান্তেও পাঠানো যায়।

“আমাদের ধারণা, পরিশোধিত পণ্যের ওপর দেওয়ার নিষেধাজ্ঞা অপরিশোধিত তেলের ওপর দেওয়া নিষেধাজ্ঞার চেয়ে বেশি প্রভাব ফেলবে, কেননা সমপরিমাণ অপরিশোধিত তেলের তুলনায় তেলজাত পণ্য রপ্তানি বেশ জটিল,” বলেছেন মস্কোভিত্তিক ব্রোকারেজ প্রতিষ্ঠান বিসিএসের রন স্মিথ।

“আমাদের অনুমান, দুই নিষেধাজ্ঞা মিলিতভাবে রাশিয়ার তেল উৎপাদন কমাবে এবং রপ্তানিও সম্ভবত ২০২৩ সালের প্রথম প্রান্তিকের শেষ নাগাদ প্রতিদিন ১০ লাখ ব্যারেল কমিয়ে আনবে,” বলেছেন তিনি।
ইন্টারনেট

সর্বশেষ সংবাদ

জনপ্রিয় গল্প

সর্বশেষ ভিডিও