ঈদ-উল-ফিতর উপলক্ষ্যে তিনদিনের ছুটি ঘোষণা করা হোক, দাবী জামায়াতে ইসলামীর

ঈদ-উল-ফিতর উপলক্ষ্যে তিনদিনের ছুটি ঘোষণা করার দাবী জানালো জামায়াতে ইসলামী হিন্দ পশ্চিমবঙ্গ শাখা। রবিবার এক বিবৃতিতে এই দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি।

বেশ কয়েক বছর থেকে রাজ্যে ঈদের ছুটি তিনদিন করার দাবী জানিয়ে আসছেন মুসলিম নেতৃত্বের একাংশ। বিভিন্ন মুসলিম সংগঠন বিষয়টি নিয়ে সরব হয়েছেন। এমনকি ঈদের আগে পরে পরীক্ষা রাখার বিরোধিতাও তারা করেছেন। এবার ঈদের ছুটি তিনদিন করার দাবী জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি দিল জামায়াতে ইসলামী হিন্দ পশ্চিমবঙ্গ। সংগঠনটির রাজ্য সভাপতি আব্দুর রফিক চিঠিতে লেখেন,”
সর্বপ্রথম আমরা আপনার সুস্বাস্থ্য কামনা করছি। পশ্চিমবঙ্গে এই নিয়ে তৃতীয়বার আপনার নেতৃত্বাধীন সরকার পরিচালিত হচ্ছে। বিভিন্ন ক্ষেত্রে এই সরকার জনস্বার্থে বেশ কিছু ভাল উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। তার ইতিবাচক প্রতিফলন বাংলার সমাজ জীবনে পড়েছে। আমরা আশা করি, এই সরকার পশ্চিমবঙ্গের জনগণের স্বার্থে আরও কার্যকর ভূমিকা গ্রহণ করে যাবে। বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় ঈদ-উল-ফিতর উপলক্ষ্যে আপনার দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।”
চিঠিতে লেখা হয়েছে,”আগামী ২২/২৩ এপ্রিল সম্ভাব্য ঈদ-উল-ফিতরের দিন। রাজ্যের বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজ বিজ্ঞপ্তি জারি করে পরীক্ষার নির্ঘণ্ট দিয়েছে। এই বিজ্ঞপ্তি গুলিতে ২৩ এপ্রিল থেকে এম.বি.বি.এস ওরাল ও প্রাকটিক্যাল পরীক্ষার নির্ঘণ্ট প্রকাশ করা হয়েছে। পবিত্র রমযান মাসের রোযা ৩০টি হলে আগামী ২৩ এপ্রিল ঈদ-উল-ফিতর উদযাপিত হবে। সরকারের অধীনস্থ উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির সম্ভাব্য ঈদের দিনে পরীক্ষার নির্ঘন্ট প্রকাশ অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। রাজ্যের দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্মীয় সম্প্রদায়ের গুরুত্বপূর্ণ এই উৎসবের দিন পরীক্ষার নির্ঘণ্ট প্রকাশ অত্যন্ত নিন্দাজনক। রাজ্যের বৃহত্তম সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের আনন্দ উৎসবের সম্ভাব্য দিন সম্পর্কে উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বশীলগণ অনবহিত থাকবেন, এটি স্বাভাবিক ভাবে মেনে নেওয়া যায় না। সরকার ও প্রশাসনের একটা অংশ যে সম্প্রদায়িক মনোভাব থেকে এই ধরনের অপকর্ম করছেন এটা বলার অপেক্ষা রাখেনা। বিগত বছর গুলিতেও অনেকবার এই ধরনের নির্ঘণ্ট প্রকাশিত হয়েছে এবং প্রতিবাদের মুখে কর্তৃপক্ষ তা প্রত্যাহারও করেছে। প্রতিবারই এই ধরনের অপকর্ম করা হবে আর মুসলিম সম্প্রদায় এর প্রতিবাদ করবে তার পরে নির্ঘণ্ট পরিবর্তন হবে এটা চলতে পারে না। শিক্ষা দপ্তর ও স্বাস্থ্য দপ্তরকে এই বিষয়ে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে যাতে করে আগামীতে কোন প্রতিষ্ঠান এই ধরনের কাজ করার সাহস না পায়।”
চিঠিতে সংগঠনটির রাজ্য সভাপতি আরও লেখেন,’সংখ্যালঘু মুসলিম ছাত্র-ছাত্রীদের কথা মাথায় রেখে শুধু ঈদের দিন নয় বরং ঈদের আগের দুইদিন ও পরের দুই দিন পরীক্ষার নির্ঘণ্ট না রাখার আবেদন করছি যাতে ছাত্র-ছাত্রীরা পরিবারের সাথে ঈদের আনন্দ পূর্ণ মাত্রায় ভাগ করে নিতে পারে।
রাজ্যের ঈদুল ফিতর উপলক্ষে তিন দিনের ছুটি ঘোষণার আবেদন জানাচ্ছি এবং ঘোষিত বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজের পরীক্ষার নির্ঘণ্ট পরিবর্তন করার দাবি জানাচ্ছি।’

সর্বশেষ সংবাদ

জনপ্রিয় গল্প

সর্বশেষ ভিডিও