গরমের ছুটিতে ছাত্রছাত্রীদের মিড ডে মিল যেন বন্ধ না হয়, আর্জি শিক্ষক সংগঠনের

রাজ্যের সরকারি এবং সরকার পোষিত স্কুলগুলিতে আগামিকাল ২ মে মঙ্গলবার থেকে শুরু হয়ে যাচ্ছে গরমের ছুটি। যদিও, সোমবার মে দিবস ছুটি থেকেই ছুটি শুরু হয়ে গিয়েছে। তবে কবে স্কুল খোলা হবে সে বিষয়ে এখনও বিজ্ঞপ্তি জারি করেনি স্কুলশিক্ষা দফতর। তাই অভিভাবকেরা মনে করছেন, মে মাসে গরমের দাপটে একমাস বন্ধ থাকবে স্কুল। এই সময়কালে যাতে ছাত্রছাত্রীরা মিড ডে মিল থেকে বঞ্চিত না হয়, সেই বিষয়ে শিক্ষা দফতরের কাছে দরবার করল একটি শিক্ষক সংগঠন। শিক্ষা দফতরের সচিব মনীশ জৈনকে উদ্দেশ করে ওই চিঠিটি পাঠানো হয়েছে। বঙ্গীয় শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতির তরফে শিক্ষাসচিবকে পাঠানো বার্তায় লেখা হয়েছে, “২ মে থেকে রাজ্যের সরকারি এবং সরকার অনুমোদিত স্কুলগুলিতে গরমের ছুটি শুরু হয়ে যাচ্ছে। গরমের ছুটির পর কবে স্কুল খোলা হবে তা এখনও জানানো হয়নি। আমাদের মতে, জুন মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহের আগে স্কুল খোলার সম্ভাবনা কম। তাই এই সময়কালে যাতে ছাত্রছাত্রীরা মিড ডে মিল থেকে বঞ্চিত না হয় সেই ব্যবস্থা করতে হবে।”

চিঠিতে আরও লেখা হয়েছে, “প্রবল দাবদাহের কারণে এপ্রিল মাসে এক সপ্তাহের জন্য স্কুল বন্ধ রাখা হয়েছিল। আবারও প্রায় ৩০ দিন গরমের ছুটির কারণে স্কুল বন্ধ থাকবে। তাই এই বড় সময় জুড়ে ছাত্রছাত্রীরা তাদের মিড ডে মিলের অধিকার থেকে যাতে বঞ্চিত না হয়, সেই কারণেই এই চিঠিটি লেখা হয়েছে।” শিক্ষা দফতরকে ওই শিক্ষক সংগঠনটি জানিয়েছে, ৩০ দিনে যে পরিমাণ মিড ডে মিল ছাত্রছাত্রীরা পেত, তা প্রায় ২০০ কোটি টাকার কাছাকাছি। রাজ্যে বর্তমানে এক কোটিরও বেশি ছাত্রছাত্রী মিড ডে মিল পরিষেবা পায়। স্কুল বন্ধ থাকাকালীন মিড ডে মিলের সামগ্রী, যেমন চাল, ডাল, সব্জি, চিনি, আলু, ডিম এই সব খাবার যেন তাদের দেওয়া হয়, সেই দাবিতেই সোচ্চার হয়েছে শিক্ষক সংগঠনটি।

সংগঠনের নেতা স্বপন মন্ডল বলেন, “গরমের ছুটি কবে থেকে শুরু হচ্ছে সে বিষয়ে যেমন স্পষ্ট জানানো হয়েছে। কিন্তু কবে স্কুল খোলা হবে সে বিষয়ে কোনও বিজ্ঞপ্তি জারি করেনি স্কুল শিক্ষা দফতর। তাই আমরা ধরে নিচ্ছি প্রায় এক মাসের বেশি সময় স্কুল বন্ধ থাকবে। তাই এই সময়ে যাতে ছাত্রছাত্রীরা পুষ্টিকর খাবার থেকে বঞ্চিত না হয়, সেই কারণেই আমরা এই দাবি তুলে ধরেছি।” প্রসঙ্গত, কেন্দ্রীয় সরকারের ৬০ শতাংশ এবং রাজ্য সরকারের ৪০ শতাংশ অনুদানের ভিত্তিতে রাজ্যের সরকারি এবং সরকার অনুমোদিত স্কুলগুলিতে মিড ডে মিল দেওয়া হয়। ( সৌজন্যে: আনন্দবাজার অনলাইন)

সর্বশেষ সংবাদ

জনপ্রিয় গল্প

সর্বশেষ ভিডিও