গাজায় ইসরাইলি বিমান হামলা

 

 

 

ইসরাইল মঙ্গলবার রাতে ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় বিমান হামলা চালিয়েছে। ইসরাইলি কারাগারে প্রখ্যাত এক ফিলিস্তিনি বন্দী ৮৭ দিন অনশন ধর্মঘটে পর মারা যাওয়ার ফলে সৃষ্ট উত্তেজনার মধ্যে এই হামলা চালানো হলো।
ইসরাইলি বিমান হামলার আগে গাজা থেকে রকেট নিক্ষেপ করা হয়। গাজা নিয়ন্ত্রণকারী ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস জানিয়েছে, ইসরাইলি বিমানগুলো গাজা নগরীর দুটি স্থানে আঘাত হানে।

কাদের আদনানের মৃত্যুর পর ফিলিস্তিনিদের মধ্যে ব্যাপক উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। তার মৃত্যুর খবর শেঅনার সাথে সাথে অবরুদ্ধ গাজা ও পশ্চিম তীরের রাস্তায় রাস্তায় নেমে আসে শত শত লোক। ফিলিস্তিনি নেতারা একে হত্যাকাণ্ড হিসেবে অভিহিত করেছেন।

ইসরাইলি সামরিক বাহিনী জানায়, মৃত্যুর খবরের পর গাজা থেকে ২৬টি রকেট নিক্ষেপ করা হয়। দুটি দক্ষিণাঞ্চলীয় নগরী সদারটে আঘাত হানে। এতে তিনজন আহত হয়। এদের মধ্যে ২৫ বছর বয়স্ক এক বিদেশীও রয়েছেন।
হামাস ও ইসলামি জিহাদ এই হামলার দায় স্বীকার করেছে।

এর আগে তেল আবিব গাজা সিটি এবং খান ইউনিসে গোলা বর্ষণ করে। এতে হতাহতের খবর এখনো পাওয়া যায়নি।
পশ্চিম তীরের হেবরন শহরে সাধারণ ধর্মঘট পালিত হয়। অনেক বিক্ষোভকারী ইসরাইলি সৈন্যদের দিকে পাথর নিক্ষেপ করে। জবাবে ইসরাইলি সৈন্যরা কাঁদানে গ্যাস ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে। এতে হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি।

প্যালেস্টাইন ন্যাশনাল ইনিশিয়েটিভের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা বারঘুইতি বলেন, কাদের আদনানের মৃত্যু ছিল ‘জঘন্য হত্যাকাণ্ড।’ তিনি বলেন, ফিলিস্তিনি বন্দীদের প্রতিরোধের চেতনা ভাঙার জন্য তাকে হত্যা করা হয়েছে।
ইসরাইল প্রায়ই ফিলিস্তিনিদের প্রশাসনিক বন্দী করে রাখে। তারা জানতেও পারে না তাদের বিরুদ্ধে কী অভিযোগ রয়েছে। তাদেরকে বিনা বিচারে বছরের পর বছর আটক থাকতে হয়। তারা শেষ হাতিয়ার হিসেবেই অনশন ধর্মঘটকে বেছে নেন।

মোস্তফা বলেন, এভাবে আটক রাখা ‘আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনের প্রতি পুরোদস্তুর বিদ্রূপ।’
সূত্র : আল জাজিরা ও অন্যান্য

সর্বশেষ সংবাদ

জনপ্রিয় গল্প

সর্বশেষ ভিডিও