বোর্ড গঠন ঘিরে ব্যাপক উত্তেজনা ফুরফুরা পঞ্চায়েতে, বোমা ছোড়ার অভিযোগ তৃণমূল এবং আইএসএফ দুপক্ষেরই

এক পক্ষ বলছে আদলতের রায়ের উপর নির্ভর করতে হবে, আরেক পক্ষ বলছে এখনই বোর্ড গঠন করতে হবে। আর এইসব নিয়ে উত্তেজনা, তাই পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠন ঘিরে বোমাবাজির অভিযোগ উঠল হুগলির জাঙ্গিপাড়ার ফুরফুরায়। প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছিল, বেলা ১২টার পর ফুরফুরা পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠন হবে। কিন্তু সেই সময়সীমা পেরিয়ে গেলেও পঞ্চায়েত অফিসের তালা খোলেনি। তৃণমূলের অভিযোগ, পঞ্চায়েত অফিসে তালা ঝুলিয়েছে আইএসএফ এবং সিপিএম। উল্টো পক্ষের দাবি, গোটা বিষয়টিই আদালতের বিচারাধীন। এই সময়ে বোর্ড গঠন সম্ভব নয়।
ফুরফুরার পিরজাদা কাশেম সিদ্দিকি দাবি করেন, ‘‘ফুরফুরায় জিতেছে আইএসএফ। তৃণমূল জোর করে দাবি করছে, ওরা জিতেছে। এ নিয়ে আমরা আদালতে গিয়েছি। সেখানে বিষয়টি বিচারাধীন। এই সময়ে ওরা কী করে বোর্ড গঠন করবে? আর ফুরফুরার লোকেরা তা করতে দেবে কেন? ফুরফুরায় গুন্ডামি মস্তানি করত প্রধান শামিম আহমেদ। ওই বোমাবাজি করছে।’’

কিন্তু বিদায়ী প্রধান শামিম আহমেদ বলেন, ‘‘গত কাল রাত থেকে বোমাবাজি করেছে আইএসএফ। ওরা পঞ্চায়েতে একটা তালা ঝুলিয়েছে পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠনের দিনে। এখানে ভোট শান্তিপূর্ণ হয়েছে। গণনা শান্তিপূর্ণ হয়েছে। বোর্ড গঠনও শান্তিপূর্ণ হবে। শান্ত ফুরফুরাকে অশান্ত করার চেষ্টা হচ্ছে। ওরা আদালতের এমন কোনও নির্দেশ দেখাতে পারেনি যেখানে বলা আছে, বোর্ড গঠন করা যাবে না।’’
জানা গেছে, পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পঞ্চায়েতের তালা খুলে দেয়।
অন্যদিকে আইএসএফ এবং সিপিএমের দাবি, তারা ২২টি আসনে এগিয়েছিল। ভোটগণনা করতে না দিয়ে জোর করে তাদের বার করে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। এর পর নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটে দেখা যায় তৃণমূল ওই পঞ্চায়েতে পেয়েছে মোট ২৪টি আসন।
এদিকে বৃহস্পতিবার ফুরফুরায় নওশাদ সিদ্দিকীর বাড়ির পাশে যায় বিশাল পুলিশ বাহিনী। এই সময় বিভিন্ন পীরজাদা রাস্তায় নেমে আসেন। রাস্তায় বসে পড়েন নওশাদ সিদ্দিকী। তিনি ঘোষণা দেন, এসপি না এলে সরবেন না।

 

সর্বশেষ সংবাদ

জনপ্রিয় গল্প

সর্বশেষ ভিডিও