অযোধ্যায় নির্মিত হবে দেশের বড় মসজিদ, থাকবে বিশ্বের সবচেয়ে বড় কোরআন

অযোধ্যায় রাম মন্দির নির্মাণের পাশাপাশি ২৫ কিলোমিটার দূরে একটি মসজিদও তৈরি করা হবে। এই মসজিদের নাম মসজিদ মুহাম্মদ বিন আবদুল্লাহ। গত অক্টোবরে মুম্বাইয়ে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে মসজিদটির নাম মসজিদ মুহাম্মদ বিন আবদুল্লাহ রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে। অনেক সিনিয়র আলেম এবং ইন্দো-ইসলামিক কালচারাল ফাউন্ডেশনের সভাপতি জুফর আহমেদ ফারুকীও এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। এতে মসজিদের নতুন নকশাও প্রকাশ করা হয়। এদিকে জানা গিয়েছে মসজিদের ভিত্তি স্থাপন করবেন মক্কার ইমাম (ইমাম-ই-হারাম)। মসজিদটি নির্মাণের জন্য ২০২০ সালের জুলায় মাসে ইন্দো-ইসলামিক কালচারাল ফাউন্ডেশন নামে একটি ট্রাস্ট গঠিত হয়েছিল। এর আগে সিদ্ধান্ত হয়েছিল এই ট্রাস্ট মসজিদটি নির্মাণ করবে।

টাইমস অফ ইন্ডিয়ার খবরানুযায়ী, মুম্বাইয়ের বিজেপি নেতা এবং মসজিদ মুহাম্মাদ বিন আবদুল্লাহ ডেভেলপমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান হাজি আরাফাত শেখ বলেছেন, অযোধ্যার ধন্নিপুরে নির্মিত নতুন মসজিদটি হবে ভারতের সবচেয়ে বড়। সেখানে বিশ্বের সবচেয়ে বড় কোরআনও থাকবে। এর উচ্চতা হবে ২১ ফুট এবং প্রস্থ হবে ৩৬ ফুট। তাঁর মতে, মসজিদটিতে পাঁচটি মিনার থাকবে। এগুলো ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভ কালেমা, নামাজ, রোজা, হজ্ব এবং যাকাতের প্রতীক হবে।

রাম মন্দির-বাবরি মসজিদ বিতর্ক নিয়ে দীর্ঘ আইনি লড়াই ২০১৯সালে শেষ হয়েছিল। সুপ্রিমকোর্টের ৫ সদস্যের সাংবিধানিক বেঞ্চ রাম মন্দিরের পক্ষে রায় দিয়েছিল। এই সিদ্ধান্তে, আদালত উত্তরপ্রদেশ সরকারকে অযোধ্যার রামজন্মভূমি থেকে ২৫ কিমি দূরে একটি মসজিদ নির্মাণের জন্য বাবরি মসজিদ কমিটিকে জমি দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল। এই জমিতে নতুন মসজিদ নির্মাণ করা হবে।

বিজেপি নেতা হাজী আরাফাত শেখ বলেছেন, তিনি ফাউন্ডেশনের একজন ট্রাস্টি এবং এখন তাকে মসজিদের উন্নয়ন কমিটির প্রধান করা হয়েছে। মসজিদ ছাড়াও কমপ্লেক্সে একটি ক্যান্সার হাসপাতাল, স্কুল ও কলেজ, একটি জাদুঘর, একটি গ্রন্থাগার এবং একটি সম্পূর্ণ নিরামিষ রান্নাঘরও থাকবে। এতে সেখানে আগত মানুষকে বিনামূল্যে খাবার দেওয়া হবে। তিনি আরও বলেন, প্রধান আকর্ষণ হবে ওজু খানা বা স্নানের স্থানের কাছে বিশাল অ্যাকোয়ারিয়াম, যেখানে পুরুষ ও মহিলাদের জন্য আলাদা বিভাগ থাকবে। মসজিদটি তাজমহলের সৌন্দর্যকে হার মানাবে।

 

সর্বশেষ সংবাদ

জনপ্রিয় গল্প

সর্বশেষ ভিডিও