জ্ঞানবাপী মামলায় মুসলিম পক্ষের সমস্ত পিটিশন খারিজ এলাহাবাদ হাইকোর্টের

বারাণসীর জ্ঞানবাপী মসজিদ মামলায় এলাহাবাদ হাইকোর্টে বড় ধাক্কা খেয়েছে মুসলিম পক্ষ। জ্ঞানবাপি মসজিদের রক্ষণাবেক্ষন চ্যালেঞ্জ করা নিয়ে আদালত মুসলিম পক্ষের সমস্ত আবেদন খারিজ করে দিয়েছে। হাইকোর্টে বারাণসী আদালতে দায়ের করা মূল মামলার রক্ষণাবেক্ষণকে চ্যালেঞ্জ করেছিল। রায়ে হাইকোর্ট বারাণসী আদালতকে ৬ মাসের মধ্যে মামলার শুনানি শেষ করার নির্দেশ দিয়েছে।

বিচারপতি রোহিত রঞ্জন আগরওয়ালের একক বেঞ্চ আবেদনকারী আঞ্জুমান ইন্তেজামিয়া মসজিদ কমিটি এবং উত্তরপ্রদেশ সুন্নি সেন্ট্রাল ওয়াকফ বোর্ড এবং মন্দির পক্ষের যুক্তি শোনার পর সিদ্ধান্ত দিয়েছে। এর আগে ৮ ডিসেম্বর এলাহাবাদ হাইকোর্টের বিচারপতি রোহিত রঞ্জন আগরওয়াল পিটিশনকারী আঞ্জুমান ইন্তেজামিয়া মসজিদ কমিটি এবং উত্তরপ্রদেশ সুন্নি সেন্ট্রাল ওয়াকফ বোর্ড এবং বিবাদী মন্দির পক্ষের যুক্তি শোনার পর চতুর্থবারের মতো তার সিদ্ধান্ত সংরক্ষণ করেছিলেন।

আঞ্জুমান ইন্তেজামিয়া মসজিদ কমিটি বারাণসীর কাশী বিশ্বনাথ মন্দির সংলগ্ন জ্ঞানভাপি মসজিদ পরিচালনা করে। তারা বারাণসী আদালতে বিচারাধীন মামলার রক্ষণাবেক্ষণকে চ্যালেঞ্জ করেছিল। একইসঙ্গে বর্তমানে যে স্থানে জ্ঞানবাপী মসজিদ রয়েছে সেখানে মন্দিরটি পুনঃস্থাপনের দাবি জানিয়েছে হিন্দু পক্ষ। হিন্দু পক্ষের মতে, জ্ঞানবাপী মসজিদ মন্দিরের একটি অংশ।

এলাহাবাদ হাইকোর্ট তার সিদ্ধান্তে বলেছে যে জ্ঞানভাপির মামলাটি উপাসনালয় আইন ১৯৯১ এর আওতার বাইরে। যে ৫টি পিটিশনের ওপর হাইকোর্টের সিদ্ধান্ত এসেছে তার মধ্যে ২টি দেওয়ানী মামলার রক্ষণাবেক্ষণের বিষয়ে এবং ৩টি পিটিশন এএসআই জরিপ সংক্রান্ত দাখিল করা হয়েছে। মুসলিম পক্ষের দায়ের করা পিটিশনে বলা হয়েছে যে, এই মামলার শুনানি প্লেস অফ ওয়ার্শিপ অ্যাক্ট ১৯৯১-এর অধীনে করা যাবে না। তবে আদালত স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে যে জ্ঞানভাপির ক্ষেত্রে এই নিয়ম প্রযোজ্য নয়।

প্লেস অফ ওয়ার্শিপ অ্যাক্ট, ১৯৯১ কি বলা হয়েছে?

এই আইনটি ১৯৯১ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী পিভি নরসিমা রাও-এর আমলে আনা হয়েছিল। এই আইনের অধীনে, ১৯৪৭ সালের ১৫ আগস্টের আগে বিদ্যমান কোনো ধর্মের উপাসনালয়কে অন্য কোনো ধর্মের উপাসনালয়ে রূপান্তর করা যাবে না। উপাসনালয় আইনে বলা হয়েছে, কেউ যদি এমন করে তাহলে তাকে জেলে পাঠানো যেতে পারে। আইন অনুযায়ী ধর্মীয় স্থানটি স্বাধীনতার সময় যেমন ছিল, তেমনই থাকবে। প্লেস অফ ওয়ার্শিপ অ্যাক্টকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে একাধিক পিটিশন দাখিল করা হয়েছে। এসব আবেদনে এই আইনের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে।

সর্বশেষ সংবাদ

জনপ্রিয় গল্প

সর্বশেষ ভিডিও