আইএসএফের নামে সরকার কুৎসা, অপপ্রচার চালাচ্ছে: নওশাদ সিদ্দিকী

২১শে জানুয়ারি প্রতিষ্ঠাতা দিবস উপলক্ষ্যে নওশাদ সিদ্দিকীর আইএসএফ ধর্মতলার ভিক্টোরিয়া হাউসের সামনেই সভা করতে চেয়েছিল। কিন্তু কোর্টের নির্দেশে সেখানে সভা করতে পারেনি দলটি। পরিবর্ত হিসাবে এক হাজারের কম কর্মী নিয়ে নেতজি ইন্ডোরে সভা করার অনুমতি পেয়েছিল। কিন্তু রবিবার নেতাজি ইন্ডোরে স্টেডিয়ামে কেবলমাত্র রাজ্য কমিটির সদস্যদের নিয়েই চতুর্থ প্রতিষ্ঠা দিবস পালন করেছে দলটি। আইএসএফ এক প্রেস বিবৃতিতে তাদের অবস্থান পরিস্কার করেছে। সেখানে বলা হয়েছে, আইএসএফ’কে ভয় পেয়েছে শাসকদল। তাই সর্বোচ্চ শক্তি প্রয়োগ করে দলের প্রতিষ্ঠা দিবসের সমাবেশ তারা আটকাতে চেয়েছে। কিন্তু শাসক তৃণমূল কংগ্রেস জেনে রাখুক কোন অবস্থাতেই শাসকের চোখ রাঙানির কাছে দলের মাথা নত হবে না। আইএসএফের মেরুদন্ড বিক্রি হবে না। আজ কলকাতার নেতাজী ইণ্ডোর স্টেডিয়ামে দলের চতুর্থ প্রতিষ্ঠা দিবসের সভা থেকে আইএসএফের নেতৃবৃন্দ সুস্পষ্ট এই বার্তা দিয়েছেন। নেতৃবৃন্দ বলেছেন, বাংলায় বিকল্প রাজনীতির মুখ হয়ে উঠছে আইএসএফ। রাজ্যের আপামর মানুষ দেখছেন যেখানেই অন্যায়, অত্যাচার, অবিচার, সেখানেই আইএসএফ প্রতিরোধ তৈরি করছে। মানুষের আস্থাভাজন হয়ে উঠছে এই দল। তাই আইএসএফের বিরুদ্ধে এত প্রতিহিংসা। কিন্তু ধমকে, চমকে কোন লাভ নেই।গণতন্ত্র হত্যাকারী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের সরকার জেনে রাখুক আইএসএফের অগ্রগতি রোখা যাবে না।
বিকল্প রাজনীতির কথা বলতে গিয়ে এই সভায় আইএসএফ চেয়ারম্যান ও বিধায়ক নওসাদ সিদ্দিকী বলেছেন, বেহাল স্বাস্থ্য ব্যবস্থা। বেহাল শিক্ষা ব্যবস্থা। স্বাস্থ্য ও শিক্ষার বিষয়ে আইএসএফের নির্দিষ্ট বিকল্প পরিকল্পনা আছে। কিন্তু সেটা সরকার কানে তুলছে না। তিনি বলেন, আইএসএফ একশো দিনের কাজ, নকল জব কার্ড, চা বাগান শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি, পরিযায়ী শ্রমিকদের সংখ্যা, রাজ্যের কৃষকের গড় আয় প্রভৃতি বিষয়ে নিরন্তর প্রশ্ন তুলছে। কিন্তু সমস্ত বিষয়েই সরকার নিরুত্তর থাকছে অথবা অপ্রাসঙ্গিক তথ্য দিয়ে এড়িয়ে যাচ্ছে। উল্টে আইএসএফের নামে কুৎসা, অপপ্রচার চালাচ্ছে। তিনি দৃঢ়তার সঙ্গে বলেন, যতই কুৎসা রটানো হোক, দল সাংবিধানিক গণতন্ত্র, সামাজিক ন্যায় ও মর্যাদা খচিত পতাকাকে উর্ধ্বে তুলে এগিয়ে যাবে। নওসাদ সিদ্দিকী বলেন, আগামী লোকসভা নির্বাচন এক গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক লড়াই। এই রাজ্য থেকে এমন মানুষকে সংসদে পাঠাতে হবে যারা জনগণের চাওয়া-পাওয়া, জীবন যন্ত্রণার কথা তুলে ধরবেন। তাই এই লড়াইয়ের প্রস্তুতি শুরু করার ওপর তিনি জোর দেন। এই সভায় নওসাদ সিদ্দিকী ছাড়াও বক্তব্য রাখেন দলের রাজ্য কমিটির সম্পাদক বিশ্বজিত মাইতি, রাজ্য কমিটির সদস্য তাপস ব্যানার্জি, লক্ষীকান্ত হাঁসদা, সাওন দাস প্রমুখ।

সর্বশেষ সংবাদ

জনপ্রিয় গল্প

সর্বশেষ ভিডিও