অবৈধভাবে চণ্ডীগড়ের মেয়র নির্বাচনে জয় বিজেপির, অভিযোগ আপ-কংগ্রেসের

চণ্ডীগড়ের মেয়র নির্বাচনে জয়ী হয়েছে ভারতীয় জনতা পার্টি। চণ্ডীগড় মেয়র নির্বাচনে বিজেপি প্রার্থী মনোজ সোনকর ১৬ ভোট পেয়েছেন। আপ প্রার্থী কুলদীপ কুমার তার বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে মাত্র ১২ ভোট পাই। এ নির্বাচনে ৮টি ভোট অবৈধ ঘোষণা করা হয়। এই নিয়ে শুরু হয় বিতর্ক। অবৈধ ভাবেই বিজেপি মেয়র নির্বাচনে জিতেছে বলে অভিযোগ করে আপ ও কংগ্রেস। মেয়র নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পর কর্পোরেশন ভবনে বিক্ষোভ করে আপ। এ সময় আপ-এর মেয়র প্রার্থী কুলদীপ কুমার আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন। আম আদমি পার্টি এবং কংগ্রেস পার্টির কাউন্সিলররা মেয়র নির্বাচনের পরে অনুষ্ঠিত ডেপুটি মেয়র নির্বাচন এবং সিনিয়র ডেপুটি মেয়র নির্বাচন বর্জন করেন। এর প্রতিবাদে উভয় দলের কাউন্সিলররা এই নির্বাচনে ভোট দিতে অস্বীকার করেন। এরপর বিজেপি প্রার্থী রাজিন্দর কুমার চণ্ডীগড় পৌর কর্পোরেশনের ডেপুটি মেয়র নির্বাচিত হন।

আম আদমি পার্টির নেতা এবং দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালও চণ্ডীগড় মেয়র নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, একজন মেয়র নির্বাচনে এই মানুষগুলো যদি এতটা নিচু হতে পারে, তাহলে দেশের নির্বাচনে তারা যেকোনো পর্যায়ে যেতে পারে। এটা খুবই উদ্বেগজনক। চণ্ডীগড়ের মেয়র পদে নির্বাচনের পর আম আদমি পার্টি এবং কংগ্রেস পার্টি যৌথ সংবাদ সম্মেলন করেছে। এই প্রেস কনফারেন্সে, আপ নেতা রাঘব চাড্ডা বলেছেন, চণ্ডীগড় মেয়র নির্বাচনের সময় আমরা যা দেখেছি তা কেবল অসাংবিধানিকই নয়, রাষ্ট্রদ্রোহিতাও। চণ্ডীগড় মেয়র নির্বাচনে আমরা যে বেআইনিতা দেখেছি তা কেবল রাষ্ট্রদ্রোহ বলা যেতে পারে। তিনি আরও বলেছেন, আজ যা ঘটেছে তা দেখায়, মেয়র নির্বাচনের জন্য বিজেপি সমস্ত অবৈধ কৌশল অবলম্বন করতে পারে। বিজেপি কি এই দেশটিকে উত্তর কোরিয়াতে পরিণত করতে চায়?

উল্লেখ্য, চণ্ডীগড় মিউনিসিপ্যাল ​​কর্পোরেশনে আম আদমি পার্টির ১৩ কাউন্সিলর এবং কংগ্রেস পার্টির ৭ কাউন্সিলর রয়েছে। উভয় দলের কাউন্সিলর সংখ্যা ২০ জন, যেখানে বিজেপির কাউন্সিলর সংখ্যা ১৪ এবং চণ্ডীগড়ের সাংসদ কিরণ খেরের একটি ভোট রয়েছে। এ ছাড়াও আকালি দলের একজন কাউন্সিলর রয়েছে।

সর্বশেষ সংবাদ

জনপ্রিয় গল্প

সর্বশেষ ভিডিও