প্রসূতি মহিলার চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগে চিকিৎসক ও নার্সের বিরুদ্ধে থানায় মামলা

প্রসূতি মহিলার চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগে চিকিৎসক ও নার্সের বিরুদ্ধে থানায় মামলা। বাশকান্দি প্রাথমিক চিকিৎসা কেন্দ্রের ইনচার্জ চিকিৎসক হাবিবুল ইসলাম ও কর্তব্যরত নার্স ননীবালা দেবীর কাছে অবহেলার শিকার হয়েছেন প্রসূতি মহিলা সাহেনা বেগম। ভুল চিকিৎসার কারনে অল্পের জন্য প্রাণে বাচলেন সাহেনা বেগম। পুলিশের সাহায্য নিয়ে বাশকান্দি চিকিৎসা কেন্দ্র থেকে রিলিজ নিয়ে আলিপুর হাসপাতালে ভর্তি করে স্ত্রী র প্রাণ রক্ষা করলেন স্বামী মোহাম্মদ আলী।স্ত্রী আলিপুর হাসপাতাল থেকে সুস্থ হয়ে আসার পর গত ২৭ জানুয়ারি বাশকান্দি পুলিশ ফাড়িতে চিকিৎসক ও নার্সের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করলেন প্রসূতি মহিলার স্বামী মোহাম্মদ আলী। তাদের বাড়ি চন্দ্রপুর দ্বিতীয় খন্ড কাকমারা গ্রামে। তিনি এজাহারে উল্লেখ করেন গত ২১ জানুয়ারি রাত সাড়ে দশটায় তার গর্ভবতী স্ত্রীর প্রসব বেদনা উঠলে তিনি একটি মারুতি ভ‍্যান গাড়িতে করে স্ত্রীকে বাশকান্দি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে গাড়িতে এক পুত্র সন্তানের জন্ম হয়।ততক্ষণে তারা হাসপাতালে পৌছে যান।হাসপাতালে কর্তব্যরত নার্স ননীবালা দেবী প্রসূতি মহিলাকে লেবার রুমে নিয়ে যান। সেই কক্ষ থেকে কিছু সময়ের মধ্যে এই প্রসূতি মহিলার জোরে জোরে কান্নার আওয়াজ বাইরে আসে।সঙ্গে থাকা মহিলার পরিবারের লোকজন বাইরে থেকে জানতে চাইলেন কি হয়েছে নার্স ননীবালা বেরিয়ে এসে জানালেন তার গোপনাঙ্গে যন্ত্রণা করছে তাই চীৎকার করছেন, এটা স্বাভাবিক কিছু সময় পরে ঠিক হয়ে যাবে।ঐ সময়ে হাসপাতালে কোন চিকিৎসক ছিলেন না। এমনকি ফোনেও চিকিৎসকের কোন পরামর্শ নেননি নার্স ননীবালা। এভাবে অনেক যন্ত্রনায় রাত কাটে মহিলার।পরদিন ২১ জানুয়ারি প্রসূতি মহিলা জানান নিস্তেজ না করে তার গোপনাঙ্গে সেলাই দেওয়া হয়েছে এবং পরিস্কার করতে গিয়ে একটা ঔষধ দেওয়া মাত্র তার গোপনাঙ্গ ও উরুতে একেবারে ঝলসে গেছে।তাই তার যন্ত্রণা সহ‍্য হচ্ছেনা। পরিবারের সদস্যরা উন্নত চিকিৎসার জন্য রিলিজ নিতে দেখা করেন ইনচার্জ চিকিৎসক হাবিবুল ইসলামের সঙ্গে।কিন্তু চিকিৎসক রিলিজ দেননি বলে অভিযোগ। এদিকে প্রসূতি মহিলার অবস্থা অবনতির পথে।২৩ জানুয়ারি পর্যন্ত রিলিজ না দেওয়ায় পরিবারের লোকজন পুলিশের কাছে যান।এদিন দুপুর দু টায় বাশকান্দি পুলিশের সহযোগিতায় প্রসূতি মহিলাকে বাশকান্দি হাসপাতাল থেকে বের করে তড়িঘড়ি আলিপুর হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে ভর্তি করানো হয়। আলিপুর হাসপাতালে এক সপ্তাহ চিকিৎসার পর এই মহিলার শারীরিক অবস্থার সামান্য উন্নতি হয়েছে। বাশকান্দি হাসপাতালে ভুল চিকিৎসার কারনে প্রসূতি মহিলার অনেক কষ্ট ও শারীরিক ,আর্থিক অনেক ক্ষতি হয়েছে বলে অভিযোগ করে চিকিৎসক ও নার্সের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। ইনচার্জ চিকিৎসক তাদের কে নানা হুমকি সহ ভয় দেখিয়েছেন বলে অভিযোগ মহিলার নিকটাত্মীয় র। এনিয়ে ইনচার্জ চিকিৎসকের অভিমত জানতে চাইলে তিনি বলেন যেদিন রাতে এই মহিলা কে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছে এদিন তিনি ছুটিতে ছিলেন।কর্তব্যরত নার্স ইচ্ছে করে কোন ভুল চিকিৎসা করেননি।

আসামের লক্ষীপুর থেকে সাহাদত আলী বড়ভূইয়ার প্রতিবেদন।

সর্বশেষ সংবাদ

জনপ্রিয় গল্প

সর্বশেষ ভিডিও