নওয়াজ না ইমরান, পাকিস্তানের ক্ষমতায় কে?

পাকিস্তানে কার সরকার গঠন হতে যাচ্ছে তা এখনও স্পষ্ট নয়। রয়টার্সের মতে, কারাগারে বন্দী ইমরান খান এবং নওয়াজ শরীফ উভয়েই জয়ের দাবি করছেন, যদিও নির্বাচনের ফলাফল আনুষ্ঠানিকভাবে এখনও ঘোষণা করা হয়নি। কিন্তু দুই নেতাই জয়ী হওয়ার পর পাকিস্তানের রাজনীতিতে তোলপাড় চলছে। বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত ভোটে, নওয়াজ শরিফের দল অন্য যে কোনও দলের তুলনায় সর্বাধিক আসন জিতেছে, তবে জেল বন্দী ইমরান খান, যিনি স্বতন্ত্র হিসাবে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন, সামগ্রিকভাবে সর্বাধিক আসন জিতেছেন। নওয়াজ শরিফ বলেছেন, জোট সরকার গঠনের জন্য তার দল অন্যান্য দলের সঙ্গে কথা বলবে। কেননা তা নিজ থেকে স্পষ্ট সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনে সফল হয়নি। ২৬৫টি আসনের মধ্যে তিন-চতুর্থাংশেরও বেশি আসনের ফলাফল ঘোষণার পর নওয়াজ শরিফের বিবৃতি এসেছে। বিশ্লেষকরা ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন যে কোনও স্পষ্ট বিজয়ী নাও হতে পারে।

পাকিস্তানের নির্বাচনী ফলাফলে দেখা গেছে যে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা সবচেয়ে বেশি আসনে জয়ী হয়েছেন, যাদের বেশিরভাগই ইমরান খানের দল সমর্থিত। এখনও পর্যন্ত গণনাতে ২৪৫টি আসনের মধ্যে ৯৮টি নির্দল জিতেছে। নওয়াজ শরিফের পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন) ৬৯টি আসন পেলেও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেনজির ভুট্টোর ছেলে বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারির পাকিস্তান পিপলস পার্টি ৫১টি আসন পেয়েছে। বাকি আসনগুলো জিতেছে ছোট দল ও অন্যান্য স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। নওয়াজ শরিফ পূর্বাঞ্চলীয় শহর লাহোরে তার বাড়ির বাইরে সমর্থকদের উদ্দ্যেশ্যে বলেছেন,”নির্বাচনের পর, পাকিস্তান মুসলিম লীগ আজ দেশের সবচেয়ে বড় দল এবং এই দেশকে ঘূর্ণিপাক থেকে বের করে আনা আমাদের কর্তব্য”। তিনি বলেন, “যারা ম্যান্ডেট পেয়েছে, সে স্বতন্ত্র হোক বা দল, তারা যে ম্যান্ডেট পেয়েছে আমরা তাকে সম্মান করি। আমরা তাদের আমাদের সাথে যোগ দিতে এবং আহত জাতিকে তার পায়ে ফিরে যেতে সাহায্য করার জন্য আমন্ত্রণ জানাই।” এদিকে, পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) এর প্রতিষ্ঠাতা ইমরান খান শনিবার তার এআই-ভিত্তিক ‘বিজয় ভাষণ’ প্রকাশ করেছেন। এই ভাষণে ইমরান বলেছেন, পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন) সুপ্রিমো নওয়াজ শরিফের ‘লন্ডন পরিকল্পনা’ ভোটের দিন ভোটারদের বিপুল ভোটদানের কারণে ব্যর্থ হয়েছে।

সর্বশেষ সংবাদ

জনপ্রিয় গল্প

সর্বশেষ ভিডিও