নতুন ফৌজদারি আইনের অধীনে প্রথম এফআইআর, রাস্তার বিক্রেতার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের

সোমবার সকালে ভারতীয় ন্যায় সংহিতা (বিএনএস) এর অধীনে প্রথম মামলাটি নথিভুক্ত করা হয়েছে। প্রথম এফআইআর ননথিভুক্ত হয়েছে দিল্লির কমলা মার্কেট থানায়। নয়া দিল্লি রেলওয়ে স্টেশনের ফুটওভার ব্রিজের নিচে বাধা সৃষ্টি ও বিক্রি করার জন্য নতুন ভারতীয় দণ্ডবিধির ২৮৫ ধারার অধীনে রাস্তার বিক্রেতার বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ এফআইআর-এ অভিযুক্তের নাম পঙ্কজ কুমার বলে উল্লেখ করেছে। পঙ্কজের বিরুদ্ধে প্রধান সড়কের কাছে একটি গাড়িতে তামাক ও জল বিক্রির অভিযোগ রয়েছে। এতে করে যাত্রীরা প্রতিবন্ধকতা ও বিপাকে পড়েছেন। এলাকায় টহলরত পুলিশ অভিযুক্তকে তার গাড়িটি সরাতে বললে, তিনি অফিসারদের উপেক্ষা করেন।

‘ভারতীয় ন্যায় সংহিতা’র (বিএনএস ২) ধারা ২৮৫-এর অধীনে কার্ট বিক্রিকারী ব্যক্তির বিরুদ্ধে পুলিশ একটি মামলা দায়ের করেছে। এই ধারায় বলা হয়েছে, ‘যে কেউ এমন কিছু করে যা কোনো সার্বজনীন রাস্তা বা নৌ চলাচলের সর্বজনীন রাস্তায় কোনো ব্যক্তির বিপদ, বাধা বা আঘাতের কারণ হতে পারে, তাকে শাস্তি দেওয়া হবে। কেউ যদি তার জিনিস বা সম্পত্তি সংক্রান্ত আদেশ উপেক্ষা করে, তাহলে তাকেও শাস্তি দেওয়া হবে। এই ধারায় কেউ দোষী সাব্যস্ত হলে তাকে ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানা দিতে হতে পারে। যেহেতু, সাম্প্রতিক ক্ষেত্রে, অভিযুক্ত নতুন দিল্লি রেলওয়ে স্টেশনের ফুটওভার ব্রিজ থেকে কার্টটি সরানোর আদেশ উপেক্ষা করেছে, তাই তাকে ২৮৫ ধারার অধীনে ৫ হাজার টাকা জরিমানা দিতে হতে পারে৷ এমনকি পুরানো আইন অর্থাৎ ভারতীয় দণ্ডবিধির অধীনে, জনসাধারণের রাস্তা অবরোধ করা একটি অপরাধ ছিল। ভারতীয় দণ্ডবিধির ২৮৩ ধারায় বলা হয়েছে, ‘যে কোনো ব্যক্তিকে কোনো সর্বোজনিন বা ন্যাভিগেশনের সর্বজনীন লাইনে বিপদ, বাধা বা আঘাতের কারণ হতে পারে, তাকে সর্বোচ্চ ২০০ টাকা পর্যন্ত জরিমানা করা যেতে পারে।’ নতুন আইনে জরিমানার সীমা বেড়ে হয়েছে ৫ হাজার টাকা।

প্রসঙ্গত ১ জুলাই, ২০২৪ থেকে দেশের ফৌজদারি বিচার ব্যবস্থায় একটি বড় পরিবর্তন ঘটছে। এই তারিখ থেকে, ব্রিটিশ শাসনামলে তৈরি আইনি ব্যবস্থা তিনটি ফৌজদারি আইন দ্বারা প্রতিস্থাপিত হবে -‘ভারতীয় ন্যায় সংহিতা’, ‘ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা সংহিতা’, ‘ভারতীয় সাক্ষ্য অধিনিয়ম’। এখন এই আইনগুলির মাধ্যমে ফৌজদারি মামলার নিষ্পত্তি হবে।

সর্বশেষ সংবাদ

জনপ্রিয় গল্প

সর্বশেষ ভিডিও