আরজিকর হাসপাতালে অর্ধনগ্ন অবস্থায় উদ্ধার তরুণী চিকিৎসকের দেহ, কি বলছে তদন্ত রিপোর্ট?

শুক্রবার সকালে কলকাতার আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের জরুরি ভবনের চতুর্থ তলায় রহস্যজনক পরিস্থিতিতে এক তরুনী চিকিৎসকের মৃতদেহ পাওয়া গেছে। ক্যাম্পাসের সেমিনার হলের ভিতর মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল এবং একটি ফরেনসিক দল তদন্তের জন্য ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার রাতে ডিনার সেরে সেমিনার হলে গিয়েছিলেন তিনি। এই ঘটনার জন্য হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এগারো সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। অন্যদিকে, জুনিয়র ডাক্তারদের একটি অংশ ঘোষণা করেছে, হাসপাতালে নিরাপত্তার অভাবের কারণে তারা কাজ করবেন না। শুধু হাসপাতালের জরুরি ওয়ার্ড খোলা থাকবে বলে দাবি করেছেন আন্দোলনরত চিকিৎসকরা।

ঘটনার খবর নিতে হাসপাতালে পৌঁছায় রাজ্য মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন লীনা গঙ্গোপাধ্যায়। বিজেপি কর্মীরা এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে কলকাতার আরজি কর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের বাইরে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে। শুক্রবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নির্যাতিতার বাবা-মায়ের সঙ্গে কথা বলেছেন। তিনি সব ধরনের সাহায্যের আশ্বাস দেন। নির্যাতিতার মা জানান, তিনি মনে করেন এটি একটি হত্যা মামলা। নির্যাতিতার মা বলেন, “সে অর্ধনগ্ন ছিল এবং আঘাতের চিহ্ন ছিল, তার চশমা ভেঙে যায়। তাকে খুন করা হয়েছে।”

এদিকে আরজিকর হাসপাতালের তরুণী চিকিৎসকের ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে নিয়ে ‘আজকাল’ এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে ওই তরুণীকে এমনটাই ইঙ্গিত মিলেছে রিপোর্টে। রাত ৩টে থেকে সকাল ৬টার মধ্যে ঘটনাটি ঘটেছে। তরুণী চিকিৎসকের গলার একটি হাড় ভাঙা। তাই প্রাথমিক অনুমান, গলা টিপে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে ওই তরুণীকে। শরীরের মোট দশ জায়গায় ক্ষত পাওয়া গিয়েছে। যৌনাঙ্গেও রক্ত পাওয়া গিয়েছে বলে খবর সূত্রের।

সর্বশেষ সংবাদ

জনপ্রিয় গল্প

সর্বশেষ ভিডিও