ক্লাসে জোর করে ছাত্রীকে পর্নোগ্রাফি দেখানোর অভিযোগ প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে!

আসামের করিমগঞ্জ জেলা থেকে এক লজ্জাজনক ঘটনা সামনে এসেছে। এক সরকারি স্কুলের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ক্লাসে ছাত্রীকে জোর করে পর্নোগ্রাফি দেখানোর অভিযোগ উঠেছে। শুধু তাই নয়, এক ছাত্রীকে অনুচিতভাবে স্পর্শও করেন তিনি। স্কুল থেকে ছুটি পাওয়ার পর ছাত্রীটি তার পরিবারকে ঘটনাটি জানায়। মেয়েটির পরিবারের সদস্যরা জানান, প্রথমে ঘটনাটি তাদের জানাতে দ্বিধা করলেও পরে সে তার মাকে বিষয়টি জানায়। এমন ঘৃণ্য কাজে বিক্ষুব্ধ হয়ে অভিভাবকরা স্কুল ভাঙচুর করে এবং আগুন ধরিয়ে দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে পকসো আইনে মামলা দায়ের করে।

পুলিশ জানায়, ঘটনাটি ঘটেছে ১২ আগস্ট। ছাত্রীর পরিবার জানায়, তাদের মেয়ে স্কুলে পড়তে গিয়েছিল। সেখানে ক্লাসরুমে ৩৭ বছর বয়সী এক শিক্ষিক মোবাইল ফোনে একটি পর্ণ ফিল্ম দেখছিলেন। এই শিক্ষক সব ছাত্রীকে এই পর্ণ ফিল্ম দেখান এবং এক ছাত্রীর সঙ্গে খারাপ ব্যবহারও করেন। ছাত্রীটি প্রথমে স্কুলে এর প্রতিবাদ করে, পরে বাড়িতে এসে তার মাকে পুরো ঘটনা জানায়। ধীরে ধীরে এই খবর অন্য অভিভাবকদের কাছে পৌঁছে যায়। এরপর সবাই মিলে স্কুলে পৌঁছে ভাংচুর করে এবং স্কুলে আগুন ধরিয়ে দেয়। পুলিশ জানায়, এ ঘটনায় কয়েকজন অভিভাবকের বিরুদ্ধে সরকারি সম্পত্তির ক্ষতি করার অভিযোগও দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করে দেখছে। অন্যদিকে অভিভাবকরা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “আমরা আমাদের সন্তানদের স্কুলে পাঠাই যাতে তারা শিক্ষা লাভ করে ভালো মানুষ হয়, কিন্তু এমন শিক্ষকের কাছ থেকে তারা কী শিখবে।”

সর্বশেষ সংবাদ

জনপ্রিয় গল্প

সর্বশেষ ভিডিও