একাধিক চ্যানেল অশান্তিতে উস্কানি দিচ্ছে, অভিযোগ কুণাল ঘোষের

মঙ্গলবারের নবান্ন অভিযানের জন্য আঁটসাট নিরাপত্তা বেষ্টনী তৈরি করে পুলিশ। বিক্ষোভকারীরা ব্যারিকেড ভেঙে অতিক্রম করার চেষ্টা করলেই জলকামান চালানো শুরু করে পুলিশ। ব্যবহার করা হয় কাঁদানে গ্যাসও। পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট ছোড়ার অভিযোগ উঠে বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে। এদিকে মিডিয়া চ্যানেলগুলির সংবাদ প্রকাশ নিয়ে সরব হয়েছেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ। ‘এক্স’ হ্যান্ডেলে লাগাতার পোস্ট করে তৃণমূল নেতা টিভি চ্যানেলগুলির বিরুদ্ধে উস্কানির অভিযোগ তুলেছেন। কুণাল ঘোষ প্রশ্ন তুলে বলেছেন, “মিডিয়া কী চায়? পুলিশ বাধা দেবে না?বিজেপির কিছু গুন্ডাকে হাঁটতে হাঁটতে নবান্নে যেতে দিতে হবে? বাধা দিলে হামলাকারীরা ইঁট,পাথর ছুঁড়লে সেটা আন্দোলন? পুলিশ হামলা আটকালে সেটা অন্যায়? এই উস্কানি ছড়ানোর জন্য টিভি চ্যানেলগুলোর বিকৃত প্রচার অনেকাংশে দায়ী।”

কুণাল ঘোষ আরও বলেন, “একাধিক চ্যানেল অশান্তিকে উস্কানি দিচ্ছে, হামলাকারীদের আচরণকে প্রশ্রয় দিচ্ছে, সাংবাদিকদের ভাষায় হিংসা ছড়ানো দুষ্কৃতীদের প্রমোট করার চেষ্টা। এরাই সন্ধেবেলা সমাজসেবী সাজবে।”

মিডিয়া চ্যানেলের বিরুদ্ধে উস্কানিমূলক বয়ান প্রচারের অভিযোগ তুলে কুণাল বলেছেন, “বারবার ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা করছে কিছু দুষ্কৃতী। ভাঙছেও। এটাকে গ্লোরিয়াস চেহারায় দেখাচ্ছে মিডিয়া। পুলিশ এখনও সংযতভাবে ঠেকাচ্ছে। যেটুকু না করলে নয়।এরা কী চায়? ব্যারিকেড ভেঙে নবান্নে যেতে দিতে হবে? একতরফা বিষাক্ত কিছু উস্কানিমূলক বয়ান প্রচারিত হচ্ছে। এর নাম বিচার চাই?”

এদিকে শান্তিপূর্ণ মিছিলের নামে অশান্তির অভিযোগ করে কুণাল ঘোষ জানিয়েছেন, “কোনো সভা নয়। মঞ্চ নয়। পরিকল্পিতভাবে ব্যারিকেড ভাঙল কিছু গুন্ডা। পুলিশকে ইঁট, পাথর ছোঁড়া হল। আইসি চন্ডীতলা রক্তাক্ত। এটা শান্তিপূর্ণ? পুলিশ প্ররোচিত জনতাকে সরাতে বাধ্য হয়ে লাঠি, কাঁদানে গ্যাস, জল কামান চালায়। মিডিয়া উস্কে চলেছে। সিপিএম জমানায় পুলিশ গুলিতে গণহত্যা করত।”

সর্বশেষ সংবাদ

জনপ্রিয় গল্প

সর্বশেষ ভিডিও