সউদী আরবে রেকর্ড সংখ্যক হাফেজে কোরআন-এর সমাবর্তন অনুষ্ঠিত

তুরস্কে ৮০০ হাফেজে কুরআনকে সংবর্ধনা দেয়া হয়েছে। দেশটির কায়সেরি প্রদেশের ‘দারুল ইফতা’ একটি আড়ম্বরপূর্ণ অনুষ্ঠানে তাদের এ সংবর্ধনা দেয়। কায়সারি প্রদেশে অনুষ্ঠিত সংবর্ধনায় প্রধান অতিথি ছিলেন তুরস্কের ধর্ম বিষয়ক প্রধান অধ্যাপক আলী এরবাশ। পবিত্র কুরআন হিফজ করাকে সবচেয়ে বড় নেয়ামত উল্লেখ করে আলী এরবাশ বলেন, ‘দিন দিন আমাদের সন্তানদের কুরআন হিফজের আগ্রহ বৃদ্ধি পাচ্ছে। অন্যদের কাছেও তৈরি হচ্ছে কুরআনের সবিশেষ আবেদন। এটা খুবই আশা জাগানিয়া ব্যাপার। এতে আমরা অত্যন্ত আনন্দিত।’ তিনি আরো বলেন, ‘আমাদেরকে যথাযথভাবে কুরআনের মর্ম বুঝতে হবে। নিজেদের জীবনে তার যথাযথ প্রয়োগও ঘটাতে হবে। এ সময় তিনি কুরআনকে জীবনের পথপ্রদর্শকরূপে গ্রহণের প্রতিও যথেষ্ট গুরুত্বারোপ করেন।’

অনুষ্ঠানে হাফেজে কুরআনদের উদ্দেশে এরবাশ বলেন, ‘আমি আপনাদের সর্বাঙ্গীন মঙ্গল ও সাফল্য কামনা করি। কুরআন মুখস্থ করা হলো আল্লাহ প্রদত্ত সবচেয়ে বড় নেয়ামত। হাফেজে কুরআন হিসেবে আপনারা বিশেষ উপাধি পাবেন। তবে মনে রাখবেন, হাফেজে কুরআনই আপনাদের সবচেয়ে বড় পরিচয়। এটাই আপনাদের সবচেয়ে বড় মর্যাদা। সেজন্য সব সময় নিজেদেরকে কুরআনের ধারক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত রাখতে হবে।’
এদিকে সউদী আরবে রেকর্ড সংখ্যক হাফেজে কুরআনের সমাবর্তন সম্পন্ন হয়েছে। সেখানকার স্থানীয় সংগঠন ‘খাইরুকুম’ এই সমাবর্তনের আয়োজন করে। দেশটির প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম সাবাক নিউজ জানিয়েছে, জেদ্দায় অন্তত ১ হাজার ৬৫৫ জন হিফজ সম্পন্নকারী কিশোর-কিশোরীকে সমাবর্তনে সংবর্ধনা দেয়া হয়। সূত্র জানায়, সউদীর বিগত ৫০ বছরের ইতিহাসে এই প্রথম এত বেশি সংখ্যক হাফেজকে নিয়ে সমাবর্তনের আয়োজন। একইসাথে এটি বিশ্বের তৃতীয় সর্বোচ্চ হাফেজদের সমাবর্তনও বটে।
‘খাইরুকুমে’র পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান প্রকৌশলী আব্দুল আজিজ আল-হানাফি এরকম একটি অনুষ্ঠান আয়োজন করতে পেরে নিজেদের সৌভাগ্যবান মনে করছেন। তিনি বলেন, ‘সংগঠনের লক্ষ্য ছিল মান ও সংখ্যায় প্রথম স্থান অর্জনের। আর এটি সম্ভব হয়েছে সবার ঐকান্তিক প্রচেষ্টা, সুচিন্তিত পরিকল্পনা, সম্মিলিত পর্যালোচনা ও ধারাবাহিক পরামর্শের দ্বারা।’ গত দশ মাস যাবত ‘খাইরুকুমে’র অধীনে অন্তত ১০ হাজার হাফেজ তৈরি হয়েছে বলেও জানান আব্দুল আজিজ আল-হানাফি। তিনি বিরাট সংখ্যক কিশোর-কিশোরীর হিফজ সম্পন্নের কৃতিত্ব দিয়েছেন তাদের শিক্ষক ও নানাভাবে তাদের সাহায্যকারীদের।
আব্দুল আজিজ আল-হানাফি মনে করেন, তারা হিফজ সম্পন্নের মাধ্যমে নিজেদের জীবনে একটি অলৌকিক আলোকবর্তিকা অর্জন করল। একইসাথে তাদের হিফজের সম্পন্নের এই কৃতিত্ব ও অবদান অনেকের জাহান্নাম থেকে মুক্তির মাধ্যম হবে। আর দেশের সুনাম-সুখ্যাতি তো আছেই। সূত্র : টিআর আরবি এজেন্সি, সাবাক নিউজ আরবি।

সর্বশেষ সংবাদ

জনপ্রিয় গল্প

সর্বশেষ ভিডিও