পঞ্চায়েত ভোটে প্রতিটি বুথে সিসিটিভি ও কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবি জানালো ওয়েলফেয়ার পার্টি

অনলাইন নমিনেশন, প্রতিটি বুথে সিসিটিভি, কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে হিংসা মুক্ত ভোট করার দাবি নিয়ে রাজ্য নির্বাচন কমিশনে গেল ওয়েলফেয়ার পার্টি অফ ইন্ডিয়া পশ্চিমবঙ্গ। বৃহস্পতিবার দলের রাজ্য নেতৃত্ব হিংসা মুক্ত নির্বাচনের জোরালো দাবি করেন। ওয়েলফেয়ার পার্টির মতে, তৃণমূল কংগ্রেসের শাসনে গণতন্ত্র বিপন্ন, মানুষ তার ভোটাধিকার পাচ্ছে না। বিরোধীদের হুমকি দেওয়া হচ্ছে।

রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে ওয়েলফেয়ার পার্টি জানিয়েছে, বিগত ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনের ভয়াবহ হিংসাত্মক অভিজ্ঞতা সকলের জানা। বিরোধীদের নমিনেশন করতে না দেওয়া, অবাধ ছাপ্পা, খুন,বোমাবাজি সবই হয়েছে। এই ঘটনার প্রায় ৫ বছর হয়ে গেল, কিন্তু হিংসার পরিবেশ কমেনি। আগামী ২০২৩ পঞ্চায়েত ভোটের আগেই জেলায় জেলায় হিংসা বাড়ছে, খুন হচ্ছে, বোমাবাজি হচ্ছে। এখন পঞ্চায়েত ভোট মানেই একটা আতঙ্ক! বিগত কয়েকমাসে রাজ্যের বেশকিছু জায়গায় মাদ্রাসা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিরোধীদের নমিনেশন করতে বাধা দেওয়া হয়েছে, কোথাও আবার ভোট লুট হয়েছে। শাসক দলের গুন্ডাবাহিনী গ্রাম গঞ্জে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। পুলিশ প্রশাসন নির্বিকার! বর্তমানে স্থানীয় নির্বাচন নিয়ে সাধারণ মানুষ হতাশ, তারা আতঙ্কিত। একটি দায়িত্বশীল দল হিসেবে ওয়েলফেয়ার পার্টিও রাজ্যের গণতান্ত্রিক অবস্থা নিয়ে গভীরভাবে চিন্তিত। বাংলার মানুষ সব রাজনৈতিক দলের উপস্থিতিতে শান্তিপূর্ণ পঞ্চায়েত নির্বাচন চাইছে।
রাজ্য নির্বাচন কমিশনের নিকট ওয়েলফেয়ার পার্টি অফ ইন্ডিয়া পশ্চিমবঙ্গ শাখা দাবি করেছে, অফ লাইনের পাশাপাশি অনলাইন নমিনেশনের ব্যবস্থা করতে হবে। প্রতিটি বুথে সিসিটিভি লাগাতে হবে এবং সব দল ও প্রশাসনের উপস্থিতিতে পঞ্চায়েত স্তরে এক জায়গা থেকে সিসিটিভির উপর নজর রাখতে হবে। কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট করাতে হবে। এছাড়া রাজ্যে একাধিক দফায় ভোট, মহিলাদের জন্য পৃথক বুথ, প্রতিটি বুথকে আদর্শ বুথ করার দাবিও দলটি জানিয়েছে।
ওয়েলফেয়ার পার্টি বলছে, সিভিক পুলিশদের ভোটের কোনও কাজে লাগানো যাবে না ।
স্পর্শকাতর এলাকায় বুথের বাইরেও সিসিটিভি লাগাতে হবে । দলটির দাবি, ভোটের আগে প্রশাসনিক রদবদল করতে হবে। এছাড়া অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে প্রশাসনকে নির্দেশ দেওয়ার দাবিও নির্বাচন কমিশনকে জানিয়েছে ওয়েলফেয়ার পার্টি।
দলটির আরও দাবি, অতীতে ভোট লুটের সঙ্গে যুক্ত থেকেছে বা সমাজের দাগি অপরাধী বলে পরিচিত এমন লোকদের ভোটের আগে পুলিশ হেফাজতে নিতে হবে। গোয়েন্দা রিপোর্টের ভিত্তিতে ভোট লুট করতে পারে এমন লোকদের গ্রেফতার করতে হবে।

নির্বাচন কমিশন থেকে বেরিয়ে ওয়েলফেয়ার পার্টির রাজ্য সভাপতি মনসা সেন জানান, কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে রাজ্য নির্বাচন কমিশন যে শান্তিপূর্ণ পঞ্চায়েত ভোট করতে পারে তা অতীতে আমরা দেখেছি। মীরা পান্ডেকে বাংলার মানুষ মনে রেখেছে। আমরা চাই, বাংলার স্বার্থে, গণতন্ত্রের স্বার্থে ওয়েলফেয়ার পার্টির দাবিগুলি কমিশন বিবেচনা করবেন ও সকলের উপস্থিতিতে ২০২৩ সালে একটি সুন্দর, শান্তিপূর্ণ ত্রিস্তর পঞ্চায়েত নির্বাচনের আয়োজন করবেন। প্রতিনিধি দলে ছিলেন রাজ্য সম্পাদক আবু তাহের আনসারী, শ্রমিক নেতা নইমুদ্দিন শেখ।

সর্বশেষ সংবাদ

জনপ্রিয় গল্প

সর্বশেষ ভিডিও