ন্যাশনাল জিওগ্রাফিকের ২০২৩ সালের ২৫টি পর্যটন এলাকার এশিয়ার সেরা যে তিনটি

বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে দারুণ সব পর্যটনকেন্দ্র রয়েছে। নতুন বছরে এসব পর্যটনকেন্দ্র পর্যটকদের পদচারণে মুখর হবে বলে ধারণা করা যায়। বিশ্বে পর্যটনকেন্দ্রের তালিকা বেশ দীর্ঘ। তাই ভ্রমণপিপাসুদের কথা বিবেচনায় নিয়ে সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট এশিয়া অঞ্চলের সেরা পর্যটনকেন্দ্রগুলোর তথ্য এক প্রতিবেদনে তুলে ধরেছে।

স্ট্রিট ফুডের জন্য মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুর বা থাইল্যান্ডের চিয়াং রাই বেছে নেওয়া যায়। সমুদ্রের নীল জলরাশির নিচের ভিন্ন জগৎ দেখতে ডাইভিংয়ের জন্য সেরা হতে পারে তাইওয়ান বা ইন্দোনেশিয়া। আর ইতিহাস-ঐতিহ্য জানতে যাওয়া যেতে পারে সিল্ক রোডের শহরগুলোয়।

নিরিবিলি ও প্রশান্তিতে সময় কাটাতে বেছে নেওয়া যেতে পারে ভুটান বা জাপানের নাওশিমা। প্রত্যন্ত এলাকার সৌন্দর্য উপভোগে লাওসের সি ফান ডন কিংবা ফিলিপাইনের পালাওয়ান হতে পারে সেরা গন্তব্য। শ্রীলঙ্কার কথাও মাথায় রাখতে পারেন পর্যটকেরা।

খাবার, সাংস্কৃতিক সমৃদ্ধি, বিগ সিটি রোমাঞ্চ, সৈকতে সমুদ্রের খোলা বাতাসে আনমনা হয়ে সময় কাটানো, এমন সব বিষয় বিবেচনায় নিয়ে ‘ট্রাভেল প্লাস লেইজার’ সাময়িকী তার সম্পাদকদের কাছে জানতে চায়, তারা ২০২৩ সালে কোথায় ঘুরতে যেতে চান।

মার্কিন এই ভ্রমণ সাময়িকীর তালিকায় ভুটানের নাম উঠে এসেছে। গত সেপ্টেম্বরে পর্যটকদের জন্য দরজা খোলে দেশটি। পছন্দের তালিকায় রয়েছে লাওসের লাল-সাদা-নীল বুলেট ট্রেন। রাজধানী ভিয়েনতিয়েন থেকে চীনের সীমান্তবর্তী বোতেন পর্যন্ত ঘণ্টায় ১৬০ কিলোমিটার বেগে ছোটে এই ট্রেন। মাঝখানে এই ট্রেন ছোট বিরতি দেয় বিশ্ব ঐতিহ্য হিসেবে তালিকাভুক্ত শহর লুয়াং প্রাবাংয়ে। এশিয়া অঞ্চলে ভ্রমণের সংক্ষিপ্ত তালিকায় ওপরের দিকে জায়গা করে নিয়েছে জাপানের কিয়োটো। মহামারির আগে শহরটিতে অতিরিক্ত পর্যটক ভিড় করেছিলেন, যার প্রভাব পড়ে শহরটিতে।

‘লোনলি প্ল্যানেট’-এর বেস্ট ইন ট্রাভেল ২০২৩-এ প্রশংসা কুড়িয়েছে কুয়ালালামপুরের স্ট্রিট ফুড। সেখানে ফুটপাতের দোকানিরা চীনা, মালয় ও ভারতীয় পাঁচমিশালি খাবার পরিবেশন করে থাকেন। সেখানকার মাছের স্যুপে ঝাল-টক নুডলসের সংমিশ্রণ খ্যাতি কুড়িয়েছে।

প্রভাবশালী এই ভ্রমণ প্রকাশনা ইন্দোনেশিয়ার পশ্চিম পাপুয়া প্রদেশের রাজা আম্পাতের ভূয়সী প্রশংসা করেছে। এটি দেড় হাজার দ্বীপ নিয়ে গঠিত। এখানে রয়েছে ৫৪০ ধরনের কোরাল, এক হাজারের বেশি প্রজাতির মাছ।

ন্যাশনাল জিওগ্রাফিকের ২০২৩ সালের ২৫টি সেরা পর্যটন এলাকার মধ্যে এশিয়ার তিনটি জায়গা করে নিয়েছে। লাওসের উচ্চগতির বুলেট ট্রেন প্রশংসা কুড়িয়েছে। তালিকায় রয়েছে দক্ষিণ কোরিয়ার বুসান। আছে চীনের হেনান প্রদেশে লংমেন গ্রোটো। খ্রিষ্টপূর্ব ৪৯৩ থেকে পাঁচ শতাব্দীর বেশি সময় ধরে মাউন্ট লংমেন ও মাউন্ট জিয়াংয়ের চুনাপাথরের পাহাড় খোদাই করে এক লাখের বেশি বুদ্ধমূর্তি তৈরি করা হয়েছিল।

ভ্রমণবিষয়ক প্রকাশক ফোডোরের এ বছরের তালিকায় এশিয়ার ছয়টি পর্যটন এলাকা জায়গা করে নিয়েছে। তার মধ্যে রয়েছে চার হাজার দ্বীপ নিয়ে গঠিত লাওসের সি ফান ডন। এই প্রত্যন্ত অঞ্চলের সৌন্দর্য অনেক পর্যটকের নজরের আড়ালে রয়েছে। তবে জানাশোনা আছে, এমন পর্যটকেরা এই সৌন্দর্য উপভোগে সেখানে ছুটে যান।

ভ্রমণনির্দেশিকা প্রকাশক, ভ্রমণ সংস্থা ও ব্লগারদের এ বছরে সেরা পর্যটনস্থানের তালিকায় এশিয়ার আরও যেসব এলাকা জায়গা করে নিয়েছে, তার মধ্যে আছে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার কার্বননিরপেক্ষ শহর ফিলিপাইনের পুয়ের্তো প্রিনসেসা। দেশটির পালাওয়ান ও চেবু দ্বীপও তালিকায় উঠে এসেছে। পর্যটকদের আগ্রহ রয়েছে উজবেকিস্তানের প্রাচীন সিল্ক রোডের শহর বুখারা, সমরখন্দ ও তাসখন্দের প্রতিও। সেরা তালিকায় আরও রয়েছে তাইওয়ানের লাম্বাই দ্বীপ, কম্বোডিয়ার সিম রিপ, ভারতের শিমলা। বান্দিপুর ন্যাশনাল পার্কের জন্য তালিকায় নাম এসেছে ভারতের কর্ণাটক রাজ্যেরও। ইন্টারনেট

সর্বশেষ সংবাদ

জনপ্রিয় গল্প

সর্বশেষ ভিডিও