গুজরাটের উচ্চবর্ণের হিন্দুদের আক্রমণে নিহত দলিত গ্রাম প্রধানের হত্যার একমাত্র সাক্ষী!

 

২০১৯ সালে বোটাদে এক দলিত ডেপুটি গ্রাম প্রধানের হত্যার সাক্ষী ছিলেন ৪৬ বছর বয়সী এক দলিত ব্যক্তি। ৬ সেপ্টেম্বর তাঁকে উচ্চবর্ণের কিছু হিন্দুরা আক্রমণ করে এবং ব্যাপক মারধর করে। এর পরের দিনই গুজরাটের ভাবনগরে মৃত্যু হয় রাজেশ মাকওয়ানা নামে ওই ব্যক্তির। বোটাদের পুলিশ সুপার (এসপি) কিশোর বান লোলিয়া বলেন, “আমরা ফরেনসিক রিপোর্টের জন্য অপেক্ষা করছি কিন্তু প্রাথমিকভাবে মৃত্যুর কারণ হতে পারে আঘাতের ফলে উদ্ভূত জটিলতা”৷
জানা গিয়েছে, গুজরাটের বোটাদের কাছে একটি ক্ষত্রিয় পরিবারের ছয় সদস্য লোহার পাইপ দিয়ে নির্মমভাবে আক্রমণ করেছিল মাকওয়ানাকে। মঞ্জিভাই সোলাঙ্কি হত্যা মামলায় অভিযুক্ত উচ্চ বর্ণের হিন্দু পুরুষদের বিরুদ্ধে তার সাক্ষ্যের প্রতিশোধ হিসেবে এই হামলা করা হয়েছে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। মঞ্জিভাই সোলাঙ্কি, রণপুরের জলিলা গ্রামের ডেপুটি সরপঞ্চ ছিলেন। ২০১৯ সালের ১৯ জুন তিনি খুন হন। প্রথমে তাঁকে উচ্চবর্ণের হিন্দু পুরুষরা একটি গাড়ি থেকে নামিয়ে দেয় এবং তারপর লাঠি ও রড দিয়ে পেটায়। হাসপাতালে যাওয়ার পথেই মৃত্যু হয় মঞ্জিভাইয়ের। এই ঘটনার একমাত্র সাক্ষী মাকওয়ানা পুলিশের কাছে দেওয়া তাঁর বয়ানে উল্লেখ করেছেন, “হামলার কারণ হল আমি জলিলা গ্রামের হত্যা মামলার একজন স্বতন্ত্র সাক্ষী।”
মাকওয়ানার মৃত্যুর পর, তাঁর পরিবার সহ গ্রামের অন্যান্য দলিত সদস্যরা হাসপাতালের বাইরে বিপুল সংখ্যায় জমায়েত হয়ে বিক্ষোভ দেখান এবং দাবি করেন যে, মুখ্যমন্ত্রী এবং রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এখানে এসে তাঁদের বিচারের আশ্বাস দেওয়া উচিত। তাঁদের দাবি পূরণ না হলে তাঁরা দাহ করার জন্য মৃতদেহ নিতে অস্বীকার করেন। উল্লেখ্য, মাকওয়ানার ওপর আক্রমণ হওয়ার পর পুলিশ হরেশ, কিশোর এবং রঘু নামে তিন উচ্চবর্ণের হিন্দু ব্যক্তিকে খুনের অভিযোগে গ্রেপ্তার করেছে।

সুত্র: মকতুব মিডিয়া

সর্বশেষ সংবাদ

জনপ্রিয় গল্প

সর্বশেষ ভিডিও