চীনা গবেষণা জাহাজকে নোঙরের অনুমতি মালদ্বীপের

ভারত মহাসাগরে চীনের হস্তক্ষেপ বাড়ছে। মালদ্বীপের দিকে দ্রুত এগিয়ে চলেছে একটি চীনা গুপ্তচর জাহাজ। চীনা জাহাজ চলাচলের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে মালদ্বীপ। মালদ্বীপ একটি বিবৃতি জারি করে বলেছে, তারা বন্ধুত্বপূর্ণ দেশগুলির জাহাজকে স্বাগত জানায়। মালদ্বীপ তার মালে বন্দরে চীনা জাহাজকে স্বাগত জানিয়েছে। এদিকে ভারতীয় নৌবাহিনী তাদের গতিবিধির ওপর নজর রাখছে। মালদ্বীপ সরকার নিশ্চিত করেছে চীনা জাহাজ জিয়ান ইয়াং হং ০৩ মালদ্বীপের জলসীমায় কোনো গবেষণা করবে না। মুইজ্জু সরকার এক বিবৃতিতে বলেছে, “মালদ্বীপ সবসময় বন্ধুত্বপূর্ণ দেশগুলির জাহাজগুলির জন্য একটি স্বাগত গন্তব্য। আমরা শান্তিপূর্ণ উদ্দেশ্যে বন্দরে আসা বেসামরিক এবং সামরিক জাহাজগুলির জন্য আতিথেয়তা অব্যাহত রাখবে”। মালদ্বীপ বলেছে, “এই ধরনের বন্দর কলগুলি শুধুমাত্র মালদ্বীপ এবং এর অংশীদার দেশগুলির মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে প্রসারিত করে না, বরং বন্ধুত্বপূর্ণ দেশগুলি থেকে আসা জাহাজগুলিকে স্বাগত জানানো মালদ্বীপের জনগণের প্রাচীন ঐতিহ্যকেও প্রতিফলিত করে।”

মালদ্বীপে চীনা জাহাজের আগমন এমন সময়ে ঘটছে যখন একদিকে ভারত ও মালদ্বীপের সম্পর্কে টানাপোড়েন চলছে। অন্যদিকে চীন-মালদ্বীপের সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ হতে দেখা যাচ্ছে। চীনা জাহাজের স্যাটেলাইট ছবিও সামনে এসেছে। প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, ৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে এই জাহাজটি মালদ্বীপের রাজধানী মালে পৌঁছাবে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চীনা গুপ্তচর জাহাজ জিয়াং ইয়াং হং ০৩ এর আগে ২০১৯ এবং ২০২০ সালে মালদ্বীপের মালে নোঙর করেছিল। বঙ্গোপসাগর ও আরব সাগরেও দেখা গেছে।
মেরিন ট্র্যাকার অ্যাপে দেখা যাচ্ছে যে চীনা গুপ্তচর জাহাজটি ৮ ফেব্রুয়ারি মালদ্বীপের রাজধানী মালে বন্দরে পৌঁছাতে যাচ্ছে। শীর্ষস্থানীয় ভূ-স্থানিক বিশেষজ্ঞ ড্যামিয়েন সাইমনের মতে, এই জাহাজটি ২০১৯ এবং ২০২০ সালের মধ্যে এখানকার জল জরিপ করেছিল। মূলত চীনের গুপ্তচর জাহাজ জিয়াং ইয়াং হং ০৩ একটি ‘গবেষণা’ জাহাজ হিসাবে শ্রেণীবদ্ধ করা হয়েছে। এটি ভারত মহাসাগরের তল ম্যাপিং করছে। এই ধরনের গবেষণা মহড়া সংশ্লিষ্ট দেশকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সরবরাহ করতে পারে। যা পানির নিচের ভূমিকম্পের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগের পূর্বাভাস দিতে এবং তাদের বিধ্বংসী প্রভাব কমাতে সাহায্য করতে পারে।

সর্বশেষ সংবাদ

জনপ্রিয় গল্প

সর্বশেষ ভিডিও