বড়সড় অঘটন! ২৭ বছর পর অস্ট্রেলিয়ার মাঠে টেস্ট জয় ওয়েস্ট ইন্ডিজের

ব্রিসবেনের গাব্বা টেস্টে অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। অস্ট্রেলিয়ায় গিয়ে গাব্বায় দাপট দেখালেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের ফাস্ট বোলাররা। ঘরের মাঠে বিশ্বের এক নম্বর টেস্ট দলকে হারিয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ১৯৯৭ সালের পর অস্ট্রেলিয়ায় এটি ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রথম জয়। ২৭ বছর পর ক্যারিবিয়ান দল অস্ট্রেলিয়ায় গিয়ে ক্যাঙ্গারুদের হারিয়েছে। দ্বিতীয় ইনিংসে সাত উইকেট ও প্রথম ইনিংসে এক উইকেট নিয়ে ম্যাচের চতুর্থ দিনে অস্ট্রেলিয়ার পরাজয়ের গল্প লিখেছেন তরুণ পেসার শামার জোসেফ। অস্ট্রেলিয়ার সামনে মাত্র ২১৬ রানের টার্গেট দেওয়া ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্যাঙ্গারু দলকে ২০৭ রানে অলআউট করে ৮ রানে ম্যাচ জিতে নেয়। সেই একই গাবা মাঠ যেখানে ২০২১ সালে ভারত অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে গর্ব ভেঙেছিল। ওয়েস্ট ইন্ডিজের জন্য ম্যাচ জেতা এত সহজ ছিল না। ওয়েস্ট ইন্ডিজের আগে ঘরের মাঠে টেস্টে পাকিস্তানকে ৩-০ গোলে হোয়াইটওয়াশ করেছিল অস্ট্রেলিয়া। প্রথমবারের মতো দিবা-রাত্রির টেস্টে হেরেছে অস্ট্রেলিয়া গাব্বায় ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে হারের সাথে অস্ট্রেলিয়াও প্রথম দিবা-রাত্রির টেস্ট হারার লজ্জাজনক রেকর্ড গড়েছে। এর আগে টেস্ট ইতিহাসে অস্ট্রেলিয়া কখনো দিবারাত্রির ম্যাচে হারেনি। ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে নায়ক হয়ে গেলেন শামার জোসেফ। এই সিরিজের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হওয়া শামার জোসেফ ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ম্যাচ জেতাতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন। মোট ৮ উইকেট নিয়েছেন তিনি। প্রথম ইনিংসে ১টি সাফল্য পান শামার। এরপর দ্বিতীয় ইনিংসে বোলিং করার আগে ব্যাট করতে গিয়ে চোট পান শামার। মিচেল স্টার্কের দ্রুত ইয়র্কারে পায়ের আঙুলে চোট পান শামার। এরপর আঙুলে চোট নিয়ে বল করতে মাঠে আসা শামার ১১.৫ ওভারে ৬৮ রানে ৭ উইকেট নেন। সিরিজের দুটি ম্যাচেই শামার ১৩ উইকেট নিয়েছিলেন, যার জন্য তিনি প্লেয়ার অফ দ্য সিরিজ খেতাব পেয়েছেন। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্ট ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজের অধিনায়ক টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন। প্রথম ইনিংসে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৩১১ রান করে। এরপর অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক প্যাট কামিন্স ২৮৯ রানে প্রথম ইনিংস ঘোষণা করেন। তখন এক উইকেট বাকি ছিল। টেস্ট ক্রিকেটে এটা খুবই বিরল যে প্রতিপক্ষ দলের লিড থাকে এবং তারপরও একটি দল তার ইনিংস ঘোষণা করে। যখন ইনিংস ঘোষণা করেন প্যাট কামিন্স, তখন অস্ট্রেলিয়া দল ওয়েস্ট ইন্ডিজের থেকে ২২ রানে পিছিয়ে ছিল। ৬৪ রান করে ক্রিজে খেলছিলেন প্যাট কামিন্স। ২২ রানের লিড ওয়েস্ট ইন্ডিজের জন্য আশীর্বাদের চেয়ে কম নয়, কারণ ওয়েস্ট ইন্ডিজ মাত্র ৮ রানে টেস্ট ম্যাচ জিতেছে। এভাবে প্রথম ইনিংস ঘোষণা করে নিজেই বিপদ ডেকে নেন প্যাট কামিন্স। এরপর দ্বিতীয় ইনিংসে ওয়েস্ট ইন্ডিজ দল ১৯৩ রান করে এবং তারা ইতিমধ্যেই ২২ রানের লিড পেয়েছিল। এমন পরিস্থিতিতে জয়ের জন্য ২১৬ রানের টার্গেট পাই অস্ট্রেলিয়া।অস্ট্রেলিয়া যখন জয়ের জন্য ২১৬ রানের লক্ষ্য পায়। তখন মনে হচ্ছিল এই ম্যাচে অস্ট্রেলিয়া দল সহজেই জিতবে। তখন ম্যাচে ঘাতক বোলিংয়ের উদাহরণ পেশ করলেন শামার। দলের সবচেয়ে বড় নায়ক হিসেবে প্রমাণিত হন তিনি।

সর্বশেষ সংবাদ

জনপ্রিয় গল্প

সর্বশেষ ভিডিও