কেন্দ্রের সঙ্গে পাঁচ ঘণ্টার বৈঠকে কোনও সমাধান হয়নি, ২৫০০ ট্রাক্টর নিয়ে দিল্লির দিকে ছুটছে কৃষকরা

সোমবার গভীর রাত পর্যন্ত চলে কৃষক সংগঠন ও কেন্দ্রীয় সরকারের মন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠক। দীর্ঘ আলোচনার পরেও কোন সমাধানের রাস্তা বাহির যায়নি। চণ্ডীগড়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পীযূষ গোয়াল এবং অর্জুন মুন্ডা কেন্দ্রের তরফে কৃষক সংগঠনগুলির সাথে প্রায় সাড়ে ৫ ঘন্টা আলোচনা চালান। কিন্তু এই আলোচনাও অমীমাংসিত থেকে গিয়েছে। কৃষকরা বলছেন, তারা দিল্লিতে যাবেন। কৃষকরা কোনো মূল্যে এমএসপি নিয়ে আপস করতে প্রস্তুত নয়। কৃষকদের অভিযোগ, সরকার তাদের দাবির প্রতি আন্তরিক নয়। জানা গিয়েছে, ‘দিল্লি চলো মার্চ’-এ প্রায় ২০ হাজার কৃষক ২৫০০ ট্রাক্টরে নিউএ দিল্লি পৌঁছতে পারে। হরিয়ানা ও পাঞ্জাবের অনেক সীমান্ত এলাকায় বিক্ষোভকারীরা উপস্থিত রয়েছে। এই বিক্ষোভকারীরা দিল্লিতে প্রবেশের জন্য প্রস্তুত। কৃষক বিক্ষোভকারীরা ছোট ছোট দলে ট্রাক্টর ও ট্রলি নিয়ে উপস্থিত।

পাঞ্জাব কিষাণ মজদুর সংগ্রাম কমিটির সাধারণ সম্পাদক সারওয়ান সিং পান্ধের বলেন, “মন্ত্রীদের সঙ্গে আমাদের বৈঠক প্রায় ৫ ঘণ্টা ধরে চলে। আমরা তাদের সামনে একটি এজেন্ডা রেখেছিলাম কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকার কোনো বিষয়েই কোনো সুনির্দিষ্ট সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি। কেন্দ্রীয় সরকার আমাদের কাছ থেকে সময় চাইছে। দুই বছর আগেও তারা আমাদের কাছে সময় চেয়েছিল, যখন কৃষকদের আন্দোলন শেষ হয়েছিল। যদি কোন সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব থাকত, আমরা সময় দেওয়ার কথা ভাবতাম কিন্তু তাদের কাছে কিছুই নেই। আমরা তাদের বলেছিলাম যে সরকারের ঘোষণা করা উচিত যে তারা এমএসপি কেনার গ্যারান্টি দেওয়ার জন্য একটি আইন প্রণয়ন করবে, কিন্তু তাতেও একমত হয়নি।” কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এবং কৃষক নেতাদের মধ্যে বৈঠক প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অর্জুন মুন্ডা বলেছেন, “কৃষক সংগঠনগুলির সাথে আলোচনা হয়েছে। সরকার সবসময় আলোচনার মাধ্যমে সমাধান খুঁজে পেতে চায়। আমরা বেশিরভাগ বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছেছি কিন্তু কিছু বিষয়ে আমরা একটি স্থায়ী সমাধানের জন্য একটি কমিটি গঠন করতে বলেছি। আমরা এখনও বিশ্বাস করি যে কোনো সমস্যা আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করা যেতে পারে। আমরা আশাবাদী যে আরও আলোচনার মাধ্যমে আমরা একটি সমাধান খুঁজে পাব।” এদিকে কৃষকদের মিছিল ঠেকাতে হরিয়ানা থেকে নয়াদিল্লি পর্যন্ত বিশেষ প্রস্তুতি নিয়েছে প্রশাসন। কৃষকদের এই পদযাত্রাকে সামনে রেখে হরিয়ানায় আধাসামরিক বাহিনী এবং রাজ্য পুলিশের মোট ১১৪ টি কোম্পানি মোতায়েন করা হয়েছে। এছাড়াও হরিয়ানা পুলিশ দুষ্কৃতী ও দুষ্টু উপাদানের উপর নজর রাখতে ড্রোন এবং সিসিটিভি ক্যামেরা ব্যবহার করছে।

সর্বশেষ সংবাদ

জনপ্রিয় গল্প

সর্বশেষ ভিডিও