ধ্বংস-মৃত্যু-বেদনার মাঝেই ফিলিস্তিনিদের ঈদের নামাজ আদায়

হামলার আতঙ্কের মধ্যেই গাজায় ঈদুল ফিতর উদযাপন করছেন ফিলিস্তিনিরা। তবে ছয় মাসেরও বেশি সময় ধরে চলা ইসরাইলের বর্বর হামলার কারণে গাজার বাসিন্দাদের নেই ঈদের আনন্দ। বুধবার পবিত্র ঈদুল ফিতরের দিনেও গাজায় হামলা অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েলি বাহিনী।  এদিন রাতে হামলা চালানো হয় গাজার নুসেইরাত ক্যাম্প এলাকায়। আবাসিক এলাকায় লক্ষ্য করে চালানো হয় এই হামলা। এতে প্রাণ যায় ১৪ জনের। এরমধ্যে ৪ জন শিশুও রয়েছে। বোমা হামলার আতঙ্কের মাঝেই ঈদে রাফাহ শহরে শিশুদের একটু আনন্দ দেবার চেষ্টা করছেন ফিলিস্তিনি সঙ্গীতশিল্পী মুসাব আল ঘামরি। তিনি বলেন, আমরা হাসি আর গানের মাধ্যমে এই শিশুদের জন্য যথাসাধ্য আনন্দ দেবার চেষ্টা করছি। ঈদ এমন একটি দিন যা আমরা উপভোগ করতে চাই।

ঈদুল ফিতর সারা বিশ্বের মুসলিমদের জন্য খুশি আর আনন্দের বার্তা নিয়ে এলেও, ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে পরিস্থিতি একেবারেই ভিন্ন। উৎসবের দিন ঈদেও গাজার বহু ফিলিস্তিনি অনাহারে থাকবে। ঈদের দিনেও অন্য দেশগুলোর পাঠানো ত্রাণের জন্য অপেক্ষায় রয়েছে অনেক গাজাবাসী। তবে এর মাঝেও সব ধ্বংস, কষ্ট, বেদনাকে পাশ কাটিয়ে ঈদকে বরণ করে নিয়েছেন ফিলিস্তিনিরা। এদিকে জেরুজালেমে আল-আকসা মসজিদ প্রাঙ্গণে ফিলিস্তিনিদের প্রবেশে কঠোর নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও ভোর থেকেই মসজিদ প্রাঙ্গণে ঈদের নামাজ আদায় করতে হাজির হয় হাজার হাজার মানুষ।

ঈদ উপলক্ষ্যে এক বিবৃতিতে আরব ও মুসলিম দেশগুলোকে শুভেচ্ছা জানিয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা জানিয়ে গাজা এবং বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে মুসলমানদের ওপর সহিংসতার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, সারা বিশ্বের মুসলিম সম্প্রদায়কে আমি ঈদের শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। তবে আমার হৃদয় ভেঙ্গে যাচ্ছে, গাজা, সুদান এবং আরও অনেক জায়গায়, সংঘাত ও ক্ষুধার কারণে, মুসলিমরা সঠিকভাবে ঈদ উদযাপন করতে পারবে না। তথ্য- একাত্তর টিভি, যমুনা টেলিভিশন

সর্বশেষ সংবাদ

জনপ্রিয় গল্প

সর্বশেষ ভিডিও