নাগাল্যান্ডের ৬ জেলায় শূন্য শতাংশ ভোট, জেনে নিন এর কারণ

শুক্রবার লোকসভা নির্বাচনের প্রথম দফার ভোটগ্রহণ হয়। এই পর্বে বিভিন্ন রাজ্যের ১০২টি আসনে ভোট হয়েছে। এদিকে, নাগাল্যান্ডের পূর্বাঞ্চলীয় ৬টি জেলায় একটি ভোটও পড়েনি। নাগাল্যান্ডের ৬ জেলায় ভোটকেন্দ্র ছিল জনশূন্য। ভোটকর্মীরা প্রায় ৯ ঘণ্টা ভোট কেন্দ্রে ভোটারদের জন্য অপেক্ষা করলেও ৪ লাখ ভোটারের মধ্যে একজন ভোটারও ভোট দিতে আসেননি। আসলে, ইস্টার্ন নাগাল্যান্ড পিপলস অর্গানাইজেশন (ইএনপিও), উপজাতি সংগঠনগুলির শীর্ষ সংস্থা। তাদের পক্ষ থেকে ফ্রন্টিয়ার নাগাল্যান্ড টেরিটরির (এফএনটি) দাবিতে চাপ তৈরি করতেই বনধ ডাকা হয়েছিল।

এদিকে, কর্মকর্তারা বলছেন, জেলা প্রশাসন এবং অন্যান্য জরুরি পরিষেবাগুলি ছাড়া পূর্ব নাগাল্যান্ডের প্রধান সড়কগুলিতে কোনও মানুষ এবং যানবাহন চলাচল করতে দেখা যায়নি। নাগাল্যান্ডের অতিরিক্ত মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক আভা লরিং জানিয়েছেন, সকাল ৭টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত এই অঞ্চলের ৭৩৮টি ভোটকেন্দ্রে ভোটকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। এতে ২০টি বিধানসভা কেন্দ্র রয়েছে। জানা গেছে যে এই আসনগুলির ২০ জন বিধায়কও তাদের ভোট দেননি। ওই ৯ ঘণ্টায় কেউ ভোট দিতে আসেনি।

নাগাল্যান্ডের মোট ১৩.২৫ লক্ষ ভোটারের মধ্যে পূর্ব নাগাল্যান্ডের ছয়টি জেলায় ৪,০০,৬৩২ জন ভোটার রয়েছে। ইস্টার্ন নাগাল্যান্ড পিপলস অর্গানাইজেশন (ইএনপিও) ছয়টি জেলার সমন্বয়ে একটি পৃথক রাজ্যের দাবি করছে। সংগঠনটির অভিযোগ, সরকার এই এলাকায় সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়ন করেনি। কোনো ব্যক্তি ভোট দিতে গেলে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত কোনো পরিস্থিতির সৃষ্টি হলে দায়-দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট ভোটারের ওপর বর্তাবে বলে আগেই সতর্ক করা হয়েছিল।

পিটিআই-এর মতে, মুখ্যমন্ত্রী নিফিউ রিও শুক্রবার নিশ্চিত করেছেন, ইস্টার্ন নাগাল্যান্ড পিপলস অর্গানাইজেশন (ইএনপিও) এর এফএনটি’র দাবিতে রাজ্য সরকারের কোনও সমস্যা নেই। কারণ এটি ইতিমধ্যে এই অঞ্চলের জন্য স্বায়ত্তশাসিত ক্ষমতার সুপারিশ করেছে। মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, রাজ্য সরকার ইতিমধ্যেই একটি স্বায়ত্তশাসিত সংস্থার সুপারিশ করেছে যাতে এই অঞ্চলটি রাজ্যের বাকি অংশের সাথে সমানভাবে পর্যাপ্ত অর্থনৈতিক প্যাকেজ পেতে পারে। ভোট না দেওয়ার জন্য পূর্ব নাগাল্যান্ডের ২০ জন বিধায়কের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হবে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, “আমরা সংঘর্ষ চাই না। দেখা যাক কি হয়।”

সর্বশেষ সংবাদ

জনপ্রিয় গল্প

সর্বশেষ ভিডিও