নিউজক্লিক সম্পাদককে গ্রেফতারে দিল্লি পুলিশের পদক্ষেপ নিয়ে প্রশ্ন সুপ্রিম কোর্টের

মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টে নিউজ পোর্টাল নিউজক্লিক-এর সম্পাদক প্রবীর পুরকায়স্থকে গ্রেপ্তারের মামলার শুনানি হয়। তাঁর আইনজীবীকে না জানিয়ে গ্রেফতারের পর ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে হাজির করার তাড়াহুড়ার জন্য দিল্লি পুলিশকে প্রশ্ন তোলে সুপ্রিম কোর্ট। বিচারপতি বিআর গাভাই এবং বিচারপতি সন্দীপ মেহতার বেঞ্চ পুরকায়স্থের আইনজীবীকে রিমান্ডের আবেদন জানানোর আগেই রিমান্ডের আদেশ দেওয়ায় বিস্ময় প্রকাশ করেছেন। গ্রেপ্তারের পদ্ধতি নিয়ে প্রশ্ন করে, বেঞ্চ বেআইনি কার্যকলাপ (প্রতিরোধ) আইন ১৯৬৭ এর অধীনে একটি মামলায় গ্রেপ্তার এবং রিমান্ডকে চ্যালেঞ্জ করে পুরকায়স্থের আবেদনের উপর তার রায় সংরক্ষণ করে। পোর্টালের মাধ্যমে দেশবিরোধী প্রচার প্রচারের জন্য চীনা অর্থায়নের অভিযোগে অক্টোবরে গ্রেপ্তার হওয়ার পর থেকে পুরকায়স্থ হেফাজতে রয়েছেন।

শুনানির সময়, পুরকায়স্থের পক্ষে উপস্থিত হয়ে সিনিয়র আইনজীবী কপিল সিব্বাল বলেছেন, ৩ অক্টোবর, ২০২৩-এর সন্ধ্যায় গ্রেপ্তার করা হয়েছিল তাঁকে। সিব্বাল আদালতকে বলেছেন, অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটরের সাথে শুধুমাত্র আইনি সহায়তার আইনজীবীরা উপস্থিত ছিলেন। পুরকায়স্থের আইনজীবীকে জানানো হয়নি। পুরকায়স্থ এ বিষয়ে আপত্তি জানালে তদন্তকারী কর্মকর্তা টেলিফোনে তাঁর আইনজীবীকে বিষয়টি জানান এবং রিমান্ড আবেদন আইনজীবীর কাছে হোয়াটসঅ্যাপে পাঠানো হয়। বেঞ্চ এএসজি এসভি রাজুকে জিজ্ঞাসা করেছিল কেন পুরকায়স্থের আইনজীবীকে জানানো হয়নি। বেঞ্চ বলেছে, তার আগের দিন বিকেল ৫টা ৪৫ মিনিটে তাকে হাজির করতে এত তাড়াহুড়ো কী ছিল? আদালত বলেছে, প্রাকৃতিক ন্যায়বিচারের নীতিতে রিমান্ডের আদেশ দেওয়ার সময় পুরকায়স্থের আইনজীবী উপস্থিত থাকা প্রয়োজন। এএসজি রাজু যুক্তি উপস্থাপন করে বেঞ্চকে বোঝানোর চেষ্টা করলেও বেঞ্চ এই যুক্তি মানতে রাজি হয়নি। দীর্ঘ তর্ক-বিতর্কের পর অবশেষে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত সংরক্ষিত রাখে বেঞ্চ।

সর্বশেষ সংবাদ

জনপ্রিয় গল্প

সর্বশেষ ভিডিও