“যেদিন আমি হিন্দু-মুসলিম ভেদাভেদ করব, সেদিন জনজীবনে থাকার যোগ্য থাকব না”: নরেন্দ্র মোদী

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি মঙ্গলবার বারাণসী থেকে লোকসভা নির্বাচনের জন্য মনোনয়ন জমা দিয়েছেন। এরপর হিন্দু-মুসলিম নিয়ে নিজের মতামত স্পষ্ট করেছেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। নিউজ ১৮ কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেছেন, “আমি যদি হিন্দু-মুসলিম করি তবে আমি জনজীবনে থাকার যোগ্য থাকব না।” এছাড়াও, তাঁর সাক্ষাৎকারে, প্রধানমন্ত্রী খোলাখুলিভাবে হিন্দু এবং মুসলিম রাজনীতি নিয়ে কথা বলেছেন। নরেন্দ্র মোদী বলেছেন, তিনি কখনই হিন্দু এবং মুসলিম বিভাজন করবেন না। প্রধানমন্ত্রী মোদী জানিয়েছেন, তাঁর শৈশব কেটেছে মুসলিম পরিবারের মধ্যে। তিনি বলেন, “আমার অনেক মুসলিম বন্ধু আছে এবং ২০০২ সালের পর আমার ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার চেষ্টা করা হয়েছে। আমাদের আশেপাশে মুসলিম পরিবার বাস করত। আমরা ঈদ উপলক্ষে বাড়িতে খাবারও রান্না করতাম না। কারণ আমাদের খাবার আশেপাশে বসবাসকারী মুসলিম প্রতিবেশীদের কাছ থেকে আসতো। আমাদেরকে মহরমের দিনে তাজিয়া করতে শেখানো হয়েছিল।”

প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেছেন, ২০০২ এর পরে তাঁর ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার চেষ্টা করা হয়েছিল। মোদী জানিয়েছেন, তিনি আহমেদাবাদের মানেক চক নামে একটি জায়গায় একটি সমীক্ষা চালিয়েছিলেন। যেখানে সব ব্যবসায়ী মুসলিম আর ক্রেতারা হিন্দু। সেখানে জরিপের জন্য কয়েকজনকে পাঠিয়েছিলেন। এ সময় কেউ তাকে নিয়ে ভুল কিছু বললে দোকানদার তাকে থামিয়ে দেন এবং মোদীর বিরুদ্ধে একটি কথাও না বলতে বলেন। মোদীর কারণেই আমাদের শিশুরা স্কুলে যাচ্ছে। ওই সময় প্রায় ৯০ শতাংশ দোকানদার একই কথা বলেছিলেন। বেশি সন্তান জন্ম দেওয়ার বিষয়ে বক্তব্যের বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেন, আমি হিন্দু বা মুসলিমদের কথা উল্লেখ করিনি। আমি বলেছি, আপনারা যতটা বাচ্চাদের লালনপালন করতে পারবেন, ততটা বাচ্চা নেন। সরকারকে সাপোর্ট করতে হয় এমন পরিস্থিতি তৈরি করবেন না। মুসলিম ভোটব্যাঙ্ক সম্পর্কে কথা বলতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেন, “আমি নিশ্চিত যে আমার দেশের মানুষ আমাকে ভোট দেবে। যেদিন আমি হিন্দু-মুসলিম বিভাজন শুরু করব, আমি জনজীবনে থাকার যোগ্য থাকব না। আমি কখনই হিন্দু-মুসলিম বিভাজন তৈরি করবো না এবং এটি আমার সংকল্প।” নরেন্দ্র মোদী বলেন, “আমার মন্ত্র হল সবকা সাথ সবকা বিকাশ। আমি ভোটব্যাঙ্কের জন্য কাজ করি না। আমি যদি কিছু ভুল পাই, তাহলে আমি বলি সেটা ভুল।”

সর্বশেষ সংবাদ

জনপ্রিয় গল্প

সর্বশেষ ভিডিও