গত ১০ বছরে মোদী সরকার প্রতিদিন ‘সংবিধান হত্যা দিবস’ পালন করেছে: মল্লিকার্জুন খাড়গে

ক্ষমতাসীন দল ও বিরোধী দলের মধ্যে সংবিধান নিয়ে যুদ্ধ আপাতত থামার কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। শুক্রবার সরকারের পক্ষ থেকে ২৫ জুন সংবিধান হত্যা দিবস পালনের সিদ্ধান্তের পর তা আরও তীব্র হয়েছে। সরকারের এই সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ হয়ে বিরোধীরা সরকারকে তীব্র আক্রমণ করেছে। সেই সাথে বর্তমান ঘটনাবলীর থেকে এটা স্পষ্ট হয়ে গেছে, ভবিষ্যতেও এই লড়াই চলবে। ২২ জুলাই থেকে সংসদের বাজেট অধিবেশন শুরু হতে চলেছে, যেখানে এই ইস্যুতে বড় ধরনের বিরোধ দেখা যেতে পারে। সরকারের এই সিদ্ধান্তে কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে সরকারকে পাল্টা নিশানা করে বলেছেন, গত দশ বছরে এই সরকার প্রতিদিন সংবিধান হত্যা দিবস পালন করেছে। প্রতি মুহূর্তে দেশের প্রতিটি দরিদ্র ও বঞ্চিত মানুষের আত্মসম্মান কেড়ে নিয়েছ। এ সময় তিনি মধ্যপ্রদেশে আদিবাসীদের অবমাননা, হাতরাসে দলিত কন্যাকে জোরপূর্বক দাহ করার মতো বিষয় তুলে ধরেন এবং প্রশ্ন করেন এটা যদি সংবিধানের হত্যা না হয়, তাহলে আর কী? এই সরকারের মুখ থেকে সংবিধান নিয়ে কথাবার্তা ভালো লাগে না। তিনি আরও বলেন, ৯৫ শতাংশ বিরোধী নেতার ওপর যেভাবে ইডি ও সিবিআই ব্যবহার করা হয়েছে, তা সংবিধানের খুন নয় তো কী?সংবিধানের মতো পবিত্র শব্দের সঙ্গে খুনের মতো শব্দ ব্যবহার করাকে বাবা সাহেবের অপমান বলে অভিহিত করেছেন তিনি। একই সময়ে, সমাজবাদী পার্টির সভাপতি এবং উত্তর প্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অখিলেশ যাদব ‘এক্স’-এ একটি দীর্ঘ পোস্ট করে বলেছেন, বিজেপি তার অন্ধকার দিনগুলির জন্য কোন তারিখ বেছে নেবে তা বলা উচিত। তিনি বলেছেন, ৩০ জানুয়ারীকে ‘বাপু হত্যা দিবস’ বা ‘গণতন্ত্র হত্যা দিবস’-এর যৌথ দিন হিসাবে উদযাপন করা উচিত কারণ এই দিনে বিজেপি চণ্ডীগড়ের মেয়র নির্বাচনে কারচুপি করেছিল।

সর্বশেষ সংবাদ

জনপ্রিয় গল্প

সর্বশেষ ভিডিও